জায়গা কমছে এফডিসির

♦ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশার ভেতর পড়ে যাওয়ায় কমছে বিএফডিসির জায়গা।
বিএফডিসির মূল ফটকসহ দক্ষিণ পাশের পুরো সীমানাপ্রাচীর ভাঙা পড়ছে।
বিএফডিসির ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি কমবে।
জমির মধ্যে গাছগুলো কাটার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ভাঙবে এফডিসির মূল ফটক
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ভাঙবে এফডিসির মূল ফটক

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশার ভেতর পড়ে যাওয়ায় কমছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) জায়গা। এতে বিএফডিসির মূল ফটকসহ দক্ষিণ পাশের পুরো সীমানাপ্রাচীর ভাঙা পড়ছে। একই সঙ্গে সীমানা প্রাচীরসংলগ্ন ভেতরের গাড়ির গ্যারেজ, স্টোররুমসহ বেশ কয়েকটি পুরোনো গাছ কাটা পড়বে। এরই মধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকার এই জমি অধিগ্রহণ করেছে।

এ ব্যাপারে বিএফডিসির পরিচালক (কারিগরি ও প্রকৌশল) মোহাম্মদ আজম বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশায় জায়গাটি পড়ে গেছে। বছর দুই আগেই জমি মাপজোখ করে রেখেছিল সরকার। এরপর সাত দফা নোটিশের মাধ্যমে আলাপ-আলোচনা করে বছরখানেক আগে সরকার জমিটি অধিগ্রহণ করেছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার মধ্য দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে যাবে। এর নকশায় পড়ে যাওয়ায় বিএফডিসির ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি কমবে। জায়গা সংকুচিত হয়ে গেলে বিএফডিসির উন্নয়নে বাধা পড়বে কি—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘কিছু তো করার নেই। সরকার আমাদের কাছে জমি চেয়েছে, আমরা দিতে বাধ্য। কারণ, এফডিসি তৈরির সময় সরকারই জমিটি আমাদের দিয়েছে। তা ছাড়া এটি সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ।’

কত দিনে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে—এই প্রশ্নের জবাবে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকার থেকে নির্দিষ্ট করে এখনো কিছু বলা হয়নি। তবে অধিগ্রহণ করা জায়গা থেকে আমাদের স্থাপনাগুলো নিলামে ভেঙে ফেলার জন্য নোটিশ দিয়েছি। বলা যায়, ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।’

তবে জমির মধ্যে গাছগুলো কাটার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন বলে জানান পরিচালক মোহাম্মদ আজম। তিনি বলেন, ‘সব স্থাপনা ভাঙলেও আপাতত গাছ কাটব না। রাস্তার কাজ শুরুর আগ পর্যন্ত দেখব কোনো গাছ বাঁচানো যায় কি না।’

এদিকে জমি অধিগ্রহণ ও যে অংশ ভাঙা হবে সে অংশের পুনর্বাসন বাবদ সরকার থেকে বিএফডিসি পাচ্ছে ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা। মোহাম্মদ আজম বলেন, গ্যারেজ, স্টোররুম ও মূল ফটক নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। টাকার কিছু অংশ এফডিসির অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ব্যয় করা হবে।