ভেঙেই গেল আর্টসেল

আর্টসেলের সদস্যরা
আর্টসেলের সদস্যরা
>
  • আর্টসেল ভেঙে যাবে, এমনটা আগে থেকেই আশঙ্কা করেছেন ভক্তরা।
  • ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সংকট অনেক দিনের।
  • ‘এক বছর যাবৎ এরশাদকে নিয়ে আর কোনো কনসার্টে অংশ নিইনি।’

দেশের রক ধারার অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল ভেঙে যাবে, এমনটা অনেক আগে থেকেই আশঙ্কা করেছেন ভক্তরা। ব্যান্ডের সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, প্রায় সব বিষয়েই মতের অমিল, নিজেদের মধ্যে শ্রদ্ধার অভাব, একজনের প্রতি অন্যজনের অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতা এর জন্য দায়ী। আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য লিংকন লিখেছেন, ‘প্রিয় ভক্তবৃন্দ, আমরা (লিংকন, সাজু, সেজান) আর আর্টসেল ব্যান্ডে এরশাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই না। আমরা আমাদের এই মতামত তাকে অফিশিয়ালি জানিয়ে দিয়েছি।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘এরশাদ আর্টসেলের ফেসবুক পেজ অবৈধভাবে তার দখলে রেখেছে এবং এই পেজের মাধ্যমে ক্রমাগত ভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত এবং প্রতারিত করছে। তাই আমরা অনুরোধ করছি, আপনারা এই পেজের যেকোনো তথ্য প্রত্যাখ্যান করুন।’

এরপর সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে লিংকন বলেন, ‘ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সংকট অনেক দিনের। পারস্পরিক দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের দুজন সদস্য সাজু ও সেজান প্রায় সাড়ে চার বছর যাবৎ অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। তাঁদের পরিবর্তে দুজন অতিথি শিল্পীকে নিয়ে আমরা বিভিন্ন কনসার্টে অংশ নিয়েছি। এক বছর যাবৎ এরশাদকে নিয়ে আর কোনো কনসার্টে অংশ নিইনি।’

এরশাদের ব্যাপারে ব্যান্ডের অন্য তিনজন সদস্যের অভিযোগ, ‘ব্যান্ডের প্রতি এরশাদের প্রতিশ্রুতির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সে ব্যান্ডের অন্য সদস্যদের ওপর নিজের আধিপত্য বিস্তার করে। এখানে কোনো ব্যান্ড লিডার নেই। আলোচনা করে সবাই সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তার একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে আর্টসেলের স্বাভাবিক কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।’

আর্টসেল তাদের তৃতীয় অ্যালবামের জন্য গ্রামীণফোন ও জি-সিরিজের সঙ্গে চুক্তি করেছে। কিন্তু এরশাদের কারণেই নাকি এই অ্যালবামের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। অ্যালবামের কাজ করার জন্য সাজু ও সেজান সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসেন। কিন্তু এরশাদের অসহযোগিতার জন্য অ্যালবামের কাজ করা সম্ভব হয়নি। এরপর সাজু ও সেজান অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান। লিংকন জানান, শিগগিরই সাজু ও সেজান দেশে আসবেন।

এরশাদকে আর্টসেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, আইনজীবীর মাধ্যমে এই চিঠি এরশাদের ই-মেইল ঠিকানায় আর বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে এরশাদের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি কোনো ফোনকল রিসিভ করেননি।