বিরহ ভুলতে সন্ন্যাসব্রত!

>

• ডেমি মুরের স্বামী ছিলেন অ্যাস্টন কুচার।
• ছয় বছরের দাম্পত্যজীবন। এরপর বিচ্ছেদ।
• বিচ্ছেদের বিরহ থেকে বেরোনো খুব কঠিন ছিল।

নব্বইয়ের দশকের আলোচিত নায়িকা ডেমি মুরের স্বামী ছিলেন অ্যাস্টন কুচার। ছয় বছরের দাম্পত্যজীবন। এরপর বিচ্ছেদ। সেই বিচ্ছেদের বিরহ থেকে বেরোনো খুব কঠিন ছিল এ অভিনেতার জন্য। নিজেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আধ্যাত্মিক পথ অবলম্বন করেছিলেন তিনি।

সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেছিলেন কিছুদিনের জন্য। চলে গিয়েছিলেন পাহাড়ে। নিজেকে সব যোগাযোগ ও প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন করে সময় কাটিয়েছেন শুধু নিজের সান্নিধ্যে। এ সময় কুচারের সঙ্গী ছিল একটি নোটবুক ও একটি কলম। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই সময়ের স্মৃতিগুলো রোমন্থন করেন কুচার।

২০০৫ সালে নিজের চেয়ে ১৫ বছরের বড় অভিনেত্রী ডেমি মুরকে বিয়ে করেন অ্যাস্টন কুচার। এর আগে ২০০৩ সাল থেকে তাঁদের প্রেম শুরু হয়। ২০১১ সালে কুচার ও মুর দম্পতি ঘোষণা দেন, তাঁরা আর এক ছাদের নিচে থাকছেন না। তখনই নিজেকে বদলে ফেলতে পাহাড়ে চলে যান অ্যাস্টন কুচার। যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানার বিগ স্কাই পাহাড়ে সাত দিন নিভৃতে কাটান তিনি। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে এ অভিনেতা সম্প্রতি বলেন, ‘বিচ্ছেদের পরপরই একাই সাত দিনের জন্য পাহাড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কোনো খাবার কিংবা কোমল পানীয় সঙ্গে ছিল না আমার। শুধু পানি আর চায়ের ওপর ছিলাম। আমার ফোন, কম্পিউটার কিছুই সঙ্গে নিইনি। পরিচিত কাউকে কিছুই জানাইওনি। কারও সঙ্গে সেই সাত দিন কোনো কথা বলিনি। এক সপ্তাহের জন্য শুধু চা আর পানি খেয়ে ছিলাম আর সঙ্গে থাকা কলম-নোটবুক নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।’

এই সাত দিনের বর্ণনায় কুচার বলেন, ‘আধ্যাত্মিক এই সফরে আমি শুধু আমার মনের কথা শুনেছি। ওই মুহূর্তে যা মনে এসেছে, আমি তা-ই করেছি। ওই সময় আমার যত পুরোনো অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল, সবার কথা মনে পড়েছে। যত আক্ষেপ, বিরোধ, ক্ষোভ, কষ্ট, বিরহ ছিল মনে, আমি সেগুলো কাগজে লিখেছি। এরপর সাত দিনের মাথায় আমি যাঁদের সঙ্গে আগে সম্পর্কে ছিলাম, তাঁদের কাছে চিঠি লিখেছি। চিঠি লেখার সময় মনে হয়েছিল, আমি কোনো না কোনোভাবে তাঁদের জীবনের কোনো অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিলাম হয়তো। নিজেকে নতুনভাবে গড়ার জন্য সেই অপরাধবোধ থেকে মুক্তি চাইছিলাম। তাই চিঠি লিখে সব ভুল শোধরাতে চেয়েছি। এরপর সত্যিই নিজেকে খুব হালকা লেগেছে।’

অ্যাস্টন কুচার এখন সংসার করছেন হলিউড অভিনেত্রী মিলা কুনিসের সঙ্গে। ২০১৫ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই কন্যাসন্তানও রয়েছে।