'গোল্ডেন বিয়ার' পেলেন উইলেম ডিফো

>
বিশ্ব চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘গোল্ডেন বিয়ার’ পেলেন উইলেম ডিফো
বিশ্ব চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘গোল্ডেন বিয়ার’ পেলেন উইলেম ডিফো
• বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের ‘গোল্ডেন বিয়ার’ প্রদান করা হলো।
• বার্লিন হচ্ছে তাঁর নানাবাড়ি।

উইলেম ডিফো বিশ্ব চলচ্চিত্রে একটি পরিচিত নাম। অভিনেতা হিসেবে তিনি তাঁর ৬২ বছরের জীবনে যেমন অসংখ্য বাণিজ্যিক ছবি করেছেন, তার চেয়ে বেশি কাজ করেছেন ‘ইনডিপেনডেন্ট’ ছবিতে। এ রকমই একটি ছবি ‘ফ্লোরিডা প্রজেক্ট’, যাতে অভিনয় করার জন্য তিনি এবারের অস্কার মনোনয়ন পেয়েছেন। বার্লিন উৎসবে তিনি এ পর্যন্ত মোট ৮ বার অংশ নিয়েছেন। কখনো তাঁর অভিনীত ছবি নিয়ে (যেমন ‘প্লাটুন’ ১৯৮৭, ‘মিসিং বার্নিং’ ১৯৮৯), কখনোবা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক হিসেবে (২০০৭)। কিন্তু তাঁর এবারের অংশগ্রহণ নিজের কর্মজীবনের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হয়ে থাকবে।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিনেতা হিসেবে বিশ্ব চলচ্চিত্রে তাঁর সার্বিক অবদানের জন্য বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘গোল্ডেন বিয়ার’ প্রদান করা হলো। ১ হাজার ৫০০ দর্শকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত জার্মান চলচ্চিত্রকার ভিম ভেন্ডার্স, যার বেশ কয়েকটি ছবিতে উইলেম ডিফো অভিনয় করেছিলেন। পুরস্কার দেওয়ার পর তাঁর অভিনীত এবং ড্যানিয়েল নেটহাইম পরিচালিত ‘দ্য হান্টার’ ছবিটি দেখানো হয়। অনুষ্ঠান শেষে উৎসবের মূল প্রদর্শনীর প্রেক্ষাগৃহের সামনে তাঁকে জেঁকে ধরেছিলাম আমরা কয়েকজন সাংবাদিক:

আপনি তো প্রায়ই বার্লিনে আসেন। এবার এসে কেমন লাগছে?
বার্লিন হচ্ছে আমার নানাবাড়ি। আমি সত্যি রূপক অর্থে বলছি না। আমার নানা জার্মান এবং আমার মায়ের ছোটবেলার একটা অংশ এই শহরে কেটেছে। আমি নিজেও একেবারে তরুণ বয়স থেকে বার্লিনে আসা-যাওয়া করি। বহুবার থিয়েটার দল নিয়ে এসেছি, তারপর শুটিং করতে এসেছি কয়েকবার। ভেন্ডার্সের পাশাপাশি আমার অনেক বন্ধুবান্ধব এই শহরে থাকেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা হলে ভালো লাগে। বলতে পারেন এই শহরের সঙ্গে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক আছে।

‘লাইফ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়ে কেমন লাগছে?
জীবনের অ্যাচিভমেন্ট কি কারও পক্ষে মাপা সম্ভব? আর আমার জীবন তো আর এখানে শেষ নয়। আমার কাজ আমি চালিয়ে যাব, যত দিন আমার পক্ষে সম্ভব হয়। এ পুরস্কারটাকে আমি দেখি কাজের উদ্দীপনা হিসেবে। এটা স্রেফ আমার কাজের প্রতি মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। সে কারণে আমি পুরস্কারটি পেয়ে ভীষণ আনন্দিত। ৬২ বছর বয়সে এসে এখন পেছন ফিরে তাকাই। আমার অভিনীত ছবিগুলো দেখলে আমি আসলে আমার জীবনটাকে যেন আবার দেখতে পাই। আমি কেমন ছিলাম? কী ভালোবাসতাম? কাকে ভালোবাসতাম? কোন জিনিসটা আমাকে নাড়া দিত? আর কোনটা আমাকে রাগান্বিত করত? এর সবই আমি আমার অভিনীত চরিত্রগুলোতে দেখতে পাই।