বাংলাদেশের ছবিতে সাত্যকি-অর্কর গান

সাত্যকি ব্যানার্জি ও অর্ক মুখার্জি
সাত্যকি ব্যানার্জি ও অর্ক মুখার্জি
>
  • সাত্যকি ও অর্ক শিগগিরই আসছেন বাংলাদেশে।
  • অনলাইনে গান প্রকাশ করার দিন সরাসরি গাইবেন তাঁরা।
  • চলচ্চিত্রটি বিজন ইমতিয়াজ পরিচালনা করেছেন।

ছবিতে কোনো গান নেই। পরিচালক চাইছিলেন ছবির কিছু মুহূর্ত নিয়ে একটি গান করবেন। সিদ্ধান্ত হলো। চলল শিল্পী খোঁজার পালা। মাঝে পেরিয়ে যায় একটি বছর। এরপর পাওয়া যায় গানের কথা ও শিল্পীর খোঁজ। কলকাতার সাত্যকি ব্যানার্জি লিখলেন, সুর করলেন ও গাইলেন মাটির প্রজার দেশে ছবির একমাত্র গানটি। এ গানের সংগীতায়োজন করেছেন ভারতের অর্ক মুখার্জি।

মাটির প্রজার দেশে মুক্তি পাচ্ছে ২৩ মার্চ। এর আগেই অনলাইনে মুক্তি পাবে ‘কবিতা’ শিরোনামে ছবির প্রচারণামূলক গানটি। কেমন করে লেখা হলো এ গান?—এর জবাবে মুঠোফোনে সংগীতশিল্পী সাত্যকি ব্যানার্জি বলছিলেন, ‘শরতের শেষের দিকে শীতের শুরুর এক দুপুরে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি, দিনের আলো চলে গেছে। খুব বিষণ্ন লাগে। চারদিক অন্ধকার, কেউ নেই। মোবাইলে কয়েকটা মেসেজ এসে পড়ে আছে। এমন একটা মুহূর্তে মাথায় প্রথম লাইনটা এসেছিল, ‘কেমন মৃত্যুর মতো পাশে পড়ে আছ কবিতা।’

বাংলাদেশের ছবিতে সংগীতায়োজন করতে কী উদ্বুদ্ধ করল অর্ক মুখার্জিকে? তিনি বলেন, ‘আমি কলকাতার একটা অত্যন্ত সাব-আরবান ইস্ট বেঙ্গল কলোনিতে বড় হয়েছি। ওখানকার বেশির ভাগ লোকই ইস্ট বেঙ্গলের রিফিউজি, আমার বাবা-মাও। আমার যদি কোনো জাত থেকে থাকে, ওই রিফিউজিটাই আমার জাত। আর এটা আমার ভেতরে একটা শূন্যতা, একটা রাগ তৈরি করে। এই শূন্যতার অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে এই গানে। সাত্যকি যেমনটি লিখেছেন, “কেমন সভা করে আছ শূন্যতা”। আর মাটির প্রজার দেশেতে এই চিন্তার একটা জায়গা আছে।’

সাত্যকি ও অর্ক শিগগির আসছেন বাংলাদেশে। অনলাইনে গানটি প্রকাশ করার দিন সরাসরি এটি গাইবেনও তাঁরা। চলচ্চিত্রটি বিজন ইমতিয়াজ পরিচালনা করেছেন। ‘গুপি বাঘা’ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে এটি প্রযোজনা করেছেন আরিফুর রহমান।