গল্প শোনালেন কাহিনিকার

কাহিনি শোনার পর ক্যামেরাবন্দী হন জানবাজ ছবি িশল্পী ও কলাকুশলীরা
কাহিনি শোনার পর ক্যামেরাবন্দী হন জানবাজ ছবি িশল্পী ও কলাকুশলীরা

গল্প শোনার সময় কোথায়? তাঁরা আসেন ক্যামেরা চালু হলে। সংলাপ বলেন, কাঁদেন-হাসেন। তারপর চলে যান। একদিন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখেন সেই কান্না-হাসির আসল গল্পটি। অথচ একসময় এমন হতো না। শুটিংয়ের আগে অভিনয়শিল্পীদের জানতে ও বুঝতে হতো চরিত্রের গল্প ও ভূমিকা। হারিয়ে যাওয়া সেই রীতিটা যে কত জরুরি ছিল, তা হয়তো আবার উপলব্ধি করতে পেরেছেন পরিচালক রবিন খান। ছবির গল্প লেখার পর তাই ছুটি দেননি কাহিনিকারকে। নিজ মুখে ছবি-সংশ্লিষ্ট সবাইকে গল্পটি শোনাতে ডেকেছিলেন।

উদ্যোগটি ‘জানবাজ’ ছবির জন্য। শুটিং শুরু হওয়ার কথা আগামী ২৮ এপ্রিল। এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর প্রিয়াংকা শুটিং হাউসে সবাইকে ডেকেছিলেন পরিচালক। শুধু অভিনয়শিল্পীরা নন, এসেছিলেন ছবির কলাকুশলীরাও। রাত আটটায় গল্পটি পড়তে শুরু করেন ছবির কাহিনিকার ও সংলাপ রচয়িতা কাসেম আলী। গল্প শেষে হয় আলোচনা। নায়িকা অপু বিশ্বাস, নায়ক বাপ্পী, অভিনয়শিল্পী গাজী রাকায়েত, সুব্রত, সুজাতা, মারুফ কথা বলেন সেই গল্প নিয়ে। আসর ভাঙতে ভাঙতে রাত ১০টা।

আসরে আরও উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক, নৃত্য পরিচালক, ফাইট ডিরেক্টর, চিত্রগ্রাহক। এই সম্মিলন নিয়ে পরিচালক রবিন খান বলেন, ‘আগে এ চর্চাটা ছিল। ছবির গল্প, চরিত্র, সহশিল্পীদের চরিত্রগুলো আগে থেকে সবার জানা থাকলে শুটিংয়ের সময় সবার সুবিধা হয়।’

এ রকম আসর বেশ কার্যকর বলে মনে হয়েছে বাপ্পীর। স্বীকার করে তিনি বললেন, ‘এত দিন কাজ করছি, মহরত ও শুটিংয়ের আগে এ ধরনের আয়োজন দেখিনি। এ ছবির গল্প ও চরিত্রগুলো সম্পর্কে আমার সব জানা। কেউ জানতে চাইলে বলতেও পারব, শুটিংয়েও সুবিধা হবে।’ শুধু গল্প শুনেই বাড়ি ফেরেননি তাঁরা। নৈশভোজও করেছেন একসঙ্গে।