প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি ছবিতে আমাকে নেওয়া হচ্ছে

সফল ছবি মনপুরার পর নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র স্বপ্নজাল। এর চিত্রনাট্য ও সংলাপও লিখেছেন তিনি। আজ দেশের ২৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। এর মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে তরুণ অভিনেতা ইয়াশ রোহানের। স্বপ্নজাল-এ অভিনয়ের অভিজ্ঞতাসহ তাঁর পরিকল্পনার কথা প্রথম আলোকে বললেন এই নবাগত।

ইয়াশ রোহান
ইয়াশ রোহান


এটি কি আপনার প্রথম অভিনয়?
চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয়। ছোটবেলায় বাবার (নরেশ ভূঁইয়া) পরিচালনায় চার-পাঁচটি নাটকে অভিনয় করেছি। তা ছাড়া ২০১২ সালে গিয়াস উদ্দিন সেলিমেরই আমাদের বিজয় নাটকে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম।

‘স্বপ্নজাল’ নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
এই ছবির সঙ্গে যাঁরা জড়িত, সবাই মিলে আমরা একটি স্বচ্ছ গল্প বলার চেষ্টা করেছি। পুরো দলের পরিশ্রমে স্বপ্নজাল আজ প্রেক্ষাগৃহে উঠছে। আশা করছি, দর্শক প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখবেন।

এই ছবিতে কীভাবে কাজের সুযোগ পেলেন?
প্রি-প্রোডাকশনের সময় থেকে আমি স্বপ্নজাল-এর সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তখনো জানতাম না যে এই ছবিতে আমি কাজ করছি। পরিচালক আমাকে সরাসরি বলেনওনি। আমার মা (অভিনেত্রী শিল্পী সরকার অপু) আমাকে জানান, ছবিতে আমাকে নেওয়া হচ্ছে। প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি। যখন ছবির চিত্রনাট্য হাতে পেলাম, মহড়া শুরু হলো, তখনই পুরোপুরি বিশ্বাস হলো যে স্বপ্নজাল-এ অভিনয় করছি।

শুরুতে নিজের অভিনয়ের ওপর আস্থা কতটুকু ছিল?
পরিচালকের প্রতি নির্ভর হয়েই কাজটি শুরু করি। আমি ভেবেছি, যেহেতু পরিচালক আমার ওপর আস্থা রেখে ছবিতে আমাকে নিয়েছেন, সুতরাং সেই আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মান রেখেই আমি ভালোভাবে কাজটি করার চেষ্টা করে গেছি।

সিনেমায় কি নিয়মিত অভিনয় করবেন?
এর মধ্যেই নতুন একটি ছবিতে কাজের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু করিনি। আমি এখন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। আপাতত লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে ভালো কাজের প্রস্তাব পেলে করব। লেখাপড়া শেষ করে তবেই অভিনয়ে নিয়মিত হতে চাই।

শেষ তিন প্রশ্ন
ছবিতে আপনার নায়িকা পরীমনি। সুযোগ পেলে সহশিল্পী হিসেবে পরীমনির কোন দিকটি পরিবর্তন করতে বলবেন আপনি?
পরীমনির এমন কোনো দিক আমার চোখে পড়েনি, যা বদলানোর দরকার আছে।

যদি একই সময়ে গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অমিতাভ রেজা বা তৌকীর আহমেদের সিনেমায় কাজের প্রস্তাব আসে, কার কাজটি করতে চান?
তিনজনই গুণী নির্মাতা। তবে নির্ভর করে চিত্রনাট্য ও পরিকল্পনার ওপর।

বাবা নরেশ ভূঁইয়া ও মা শিল্পী সরকার অপু-দুজনই গুণী শিল্পী। শিল্পী পরিবারের সন্তানেরা একই অঙ্গনে কাজের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন। ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে অভিনয়ের বেলায় কি পারিবারিক সেই পরিচয়ের কারণে আপনি কোনো বাড়তি সুযোগ পেয়েছিলেন?
এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। তবে আমার বাবা ও মায়ের এই পরিচয় না থাকলে হয়তো পরিচালক আমাকে না-ও চিনতে পারতেন।

সাক্ষাৎকার: শফিক আল মামুন, ঢাকা