নির্মাতাদের মধ্যে আন্তরিকতার প্রচণ্ড অভাব: আবু শাহেদ ইমন

১১ জন নির্মাতার সঙ্গে ফরিদুর রেজা সাগর, তাঁর বাঁয়ে ইমন
১১ জন নির্মাতার সঙ্গে ফরিদুর রেজা সাগর, তাঁর বাঁয়ে ইমন

‘স্বল্পদৈর্ঘ্য, দীর্ঘ যাত্রা’ স্লোগানে দেশের ১১ তরুণ নির্মাতাকে নিয়ে চ্যানেল আই শুরু করছে ইতি, তোমারই ঢাকা নামে ‘বাংলাদেশি অমনিবাস চলচ্চিত্র প্রজেক্ট’। এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক ও ক্রিয়েটিভ প্রযোজক নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে কথা হয় এই প্রকল্পটি নিয়ে।

আবু শাহেদ ইমন
আবু শাহেদ ইমন

কাদের নিয়ে কাজ করছেন নতুন এই প্রকল্পে?
১১ জন তরুণ নির্মাতা-নুহাশ হুমায়ূন, তানভীর আহসান, রাহাত রহমান, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, মাহমুদুল ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া ফারুকী, মীর মোকাররম হোসেন, রবিউল আলম, সালেহ আহমেদ, আহমেদ সাওকী ও তামিম নূর। কদিন আগেই চ্যানেল আইয়ের তেজগাঁওয়ের অফিসের ছাদ বারান্দায় ছবির মহরত অনুষ্ঠানে এই ১১ নির্মাতাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

এই পরিকল্পনা মাথায় এল কীভাবে?
চ্যানেল আইয়ে চলচ্চিত্র উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরু করার পর দেখলাম, নির্মাতাদের মধ্যে যোগাযোগ ও আন্তরিকতার প্রচণ্ড অভাব। ভাবলাম, সম্পর্কের জায়গাটা শক্ত করতে পারলে আমরা আরও ভালো কিছু করতে পারব। সেই ভাবনা থেকেই নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার পরিকল্পনা করি। কথাটা চ্যানেল আইয়ের ফরিদুর রেজা সাগর, ইবনে হাসান খানকে জানাই। তাঁদের আন্তরিকতায় কাজটি করার সুযোগ হচ্ছে।

ছবির গল্পে ‘ঢাকা’কে বেছে নিলেন কেন?
গল্পে সামগ্রিকভাবে একই আবেগ-অনুভূতি পাওয়া যাবে, এমন কিছুই খুঁজছিলাম আমরা। তখন খেয়াল করলাম, ঢাকা শহরের প্রতি কারও প্রেম আছে, কারও হতাশা আছে, উচ্ছ্বাস, আক্ষেপসহ নানা ধরনের ভাবনা আছে। তাই ঢাকাকেই আমরা বেছে নিয়েছি।

১১ জন পরিচালক। কিন্তু ছবি একটি। কীভাবে তৈরি হবে এটি?
১১ জন পরিচালক আলাদা চিত্রনাট্য তৈরি করে ১১টি ছবি নির্মাণ করবেন। প্রতিটি ছবি হবে ১০ মিনিটের। এরপর সব ছবি এক জায়গায় করে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি হবে। দেশের দর্শক ঢাকার একটা বাস্তব চিত্র দেখবেন এই ছবিতে। আবার দেশের বাইরের দর্শক পুরো বাংলাদেশের জীবন খুঁজে পাবেন এই এক ছবিতে।

শুটিং শুরু কবে?
মহরত হয়ে গেছে। আশা করছি, এই মাস থেকে শুটিং শুরু করতে পারব। প্রথমে নুহাশ হুমায়ূনের কাজ দিয়ে ছবির শুটিং শুরু হবে।

১১ জন নির্মাতার বাইরে এমন কেউ কি আছেন, যাঁকে এই প্রকল্প নিতে পারেননি?
অবশ্যই। তবে প্রথমে এই ১১ জন পরিচালকের মধ্যে অর্ধেক নারী পরিচালক রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভেবে দেখলাম, আমরা এ ধরনের কাজ এই প্রথম করছি। তাই ঝুঁকি নিতে চাইনি। আমাদের কর্মশালা, গল্প, চিত্রনাট্য নিয়ে কাজের কোনো নির্ধারিত সময় ছিল না। কোনো কোনো সময় গল্প তৈরি, চিত্রনাট্য তৈরির উত্তেজনায় আড্ডা দিতে দিতে দিন পেরিয়ে রাতও শেষ হয়ে গেছে।

এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে সবচেয়ে কঠিন কাজ কী হবে?
একসঙ্গে ১১ জনকে নিয়ে কাজ করার তো চ্যালেঞ্জ অনেক। তবে আমরা যে প্রস্তুতি নিচ্ছি, তাতে আমার বিশ্বাস, ছবিটি নির্মাণেও তেমন একটা প্রতিবন্ধকতা আসবে না।

গিয়াস উদ্দিন সেলিম, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নাকি অমিতাভ রেজা-পছন্দের পরিচালক কে?
সবার কাজই ভালো লাগে। তবে ফারুকী ভাইয়ের কাজ আমাকে বিস্মিত করে, উত্সাহিত করে।