মমর 'আলতা বানু'

>আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে অরুণ চৌধুরী পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র আলতা বানু। ছবিটির ‘আলতা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারী মম। ছবি মুক্তির আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে আনন্দের মুখোমুখি হলেন এই অভিনেত্রী। সঙ্গে ছিলেন হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক
আলতা বানু ছবির দৃশ্যে িমলন ও মম
আলতা বানু ছবির দৃশ্যে িমলন ও মম

 ‘তালিকাটা কিন্তু একেবারে খারাপ নয়।’
২০০৭ সালে দারুচিনি দ্বীপ, ২০১৪-তে প্রেম করব তোমার সাথে, ২০১৫-তে ছুঁয়ে দিলে মন আর ২০১৮-তে আলতা বানু—এই চারটি ছবিকে এক সুতায় মেলানোর জন্য একটা তথ্য দিই। চারটি ছবির নায়িকা জাকিয়া বারী মম। আর লেখার শুরুতে আপনি যে বাক্যটি পড়লেন, সেটাও এই অভিনেত্রীর বলা।

মুক্তি পাওয়া তিনটি তিন ধরনের ছবি। কিন্তু যেটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে, সেটি কেমন? এটা জানতেই গত মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরার এক শুটিং বাড়িতে মমর মুখোমুখি বসা হয়েছিল। শুরুতেই মম বললেন, ‘চিত্রনাট্যটি হাতে পেয়ে দুই রাত ধরে পড়েছি। পড়তে পড়তে একটা অন্য রকম অনুভূতি হয়েছে। আমি যেন আলতার সঙ্গে হাঁটছি, ঘুরছি। সহজ করে বললে বলা যায়, আলতার ভ্রমণটা আমি দেখতে পাচ্ছি। যে চরিত্রটা আমি নিজের চোখে দেখতে পাই, সেটাকে না করি কীভাবে?’
মম না করতে পারেননি বলেই আগামীকাল ‘আলতা’ হয়ে বড় পর্দায় আসছেন তিনি। তাঁর ভাষায়, ছবিজুড়ে একটা ‘জার্নি’ আছে, যা দর্শককে মুগ্ধ করবে।

ছবির মূল গল্প চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের। চিত্রনাট্য বৃন্দাবন দাসের। আর পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। এটি এই পরিচালকের প্রথম চলচ্চিত্র। তবে প্রথম হলে কী হবে, চার নম্বর চলচ্চিত্র মুক্তির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা নায়িকা মম বললেন, ‘অরুণদা খুব গুছিয়ে কাজ করেন। আমরা মাত্র ২১ দিনে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। শুটিংয়ের আগে কারও এমন পূর্বপ্রস্তুতি আগে দেখিনি।’

মম। ছবি: কবির হোসেন
মম। ছবি: কবির হোসেন

কোন তিনটি কারণে আলতা বানু সবার দেখা উচিত?

প্রশ্নটা শুনে একটু ভাবেন মম। মুঠোফোনে কেউ একজন কল দেয়। সেটা সাইলেন্ট মোডে রেখে বলেন, ‘এক. ভালো গল্প। দুই. ভালো অভিনয় এবং তিন. ভালো মিউজিক।’

আর আলতা চরিত্রটা? এবার রহস্যময় হাসি হাসেন। প্রশ্নের উত্তরটা তুলে রাখেন প্রেক্ষাগৃহে আগত দর্শকদের জন্য।

২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার হয়েছেন জাকিয়া বারী মম। তারপর থেকে অভিনয়ে নিয়মিত। হিসাব করলে এক যুগ পার করলেন অভিনয়ে। নাটক তো নিয়মিত করছেনই। চলচ্চিত্রের তালিকা আগেই দেওয়া হয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তানিম রহমান পরিচালিত স্বপ্ন বাড়ি নামের একটি চলচ্চিত্র। আর এ বছরই শুটিং শুরু হবে শিহাব শাহীনের মন ফড়িং চলচ্চিত্রের। মাঝে একবার শোনা গিয়েছিল বলিউডের একটি ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি? বিষয়টা তুলতেই বললেন, ‘ওটা লোকেশন জটিলতায় পড়েছে। তবে আমার সঙ্গে ওই পরিচালকের নিয়মিত কথা হচ্ছে। লোকেশন চূড়ান্ত হলেই কাজ শুরু হবে। ঈদের পরপরই হওয়ার কথা।’

নাটকে নিয়মিত এই অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাই কী ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য? একবাক্যে বলেন রোমান্টিক কোনো নাটক বা চলচ্চিত্র। আর রোমান্টিক নির্মাণে গুরু মানেন পরিচালক শিহাব শাহীনকে। নাটকে তো ঠিকঠাক কিন্তু বাস্তবে কতটা রোমান্টিক মম? ভাবেন, হাসেন।

‘বাস্তবে কতটা, এটা বলা সত্যি খুব কঠিন। হয়তো ১০-এ ৫ পাব। কিন্তু নাটকে তো ঠিকঠাক অভিনয় করার চেষ্টা করি। পরিচালক তো খুশিই হন। এটাই-বা কম কী!’

তবে রোমান্টিক চরিত্র পছন্দ হলেও মম ভালোবাসেন সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে। যেমনটা ছিল দারুচিনি দ্বীপ। ‘সাহিত্যের চরিত্র তুলে নিয়ে আসা কঠিন। আর আমি সারা জীবন কঠিন কাজটাই করতে চেয়েছি। করছিও।’

কিন্তু এই মুহূর্তে মমর ধ্যানজ্ঞান আলতা বানু ঘিরে। তিনি চান ছবিটা মানুষ দেখুক। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি মানুষের মন কাড়বে বলেই তিনি বিশ্বাস করেন।