কানে '# মি টু' আর 'টাইমস আপ' আন্দোলনের জের

প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরিবোর্ডের সদস্যরা—(ওপরে বাঁ থেকে) বুরুন্ডিয়ান শিল্পী-সুরকার কাজা নিন, তাইওয়ানিজ অভিনেতা চ্যাং চেন, মার্কিন লেখক-নির্মাতা অ্যাভা দুভার্নে, ফরাসি-কানাডীয় নির্মাতা ডেনি ভিলনভ এবং (নিচে বাঁ থেকে) রুশ নির্মাতা আন্দ্রেই জ্‌ভুয়াগিনৎসেভ, ফরাসি অভিনেত্রী লিয়া সেদু, ফরাসি নির্মাতা রবের গেদিগিও, মার্কিন অভিনেত্রী ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট
প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরিবোর্ডের সদস্যরা—(ওপরে বাঁ থেকে) বুরুন্ডিয়ান শিল্পী-সুরকার কাজা নিন, তাইওয়ানিজ অভিনেতা চ্যাং চেন, মার্কিন লেখক-নির্মাতা অ্যাভা দুভার্নে, ফরাসি-কানাডীয় নির্মাতা ডেনি ভিলনভ এবং (নিচে বাঁ থেকে) রুশ নির্মাতা আন্দ্রেই জ্‌ভুয়াগিনৎসেভ, ফরাসি অভিনেত্রী লিয়া সেদু, ফরাসি নির্মাতা রবের গেদিগিও, মার্কিন অভিনেত্রী ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট


কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭০ বছরের ইতিহাসে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এতটা বড় হয়ে আসেনি। গত বছর থেকে হলিউডে একের পর এক যৌন হয়রানির কেচ্ছা বেরিয়ে আসার পর পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনের হাতে চার অভিনেত্রী কান উৎসবে এসেই হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন।

তাই গত অস্কার, গোল্ডেন গ্লোব, গ্র্যামি পুরস্কারের মতো কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭১তম আসরেও ‘# মি টু’ এবং ‘টাইমস আপ’ আন্দোলনের জের থাকছে। ক্ষুব্ধ অভিনেত্রীদের দেখা যাবে লালগালিচায়। এমনকি আগামী শনিবার এই প্রতিবাদে যোগ দেবেন প্রতিযোগিতা বিভাগের প্রধান বিচারক হলিউড অভিনেত্রী কেট ব্ল্যানচেট। তাঁর সঙ্গ দেবেন অভিনেত্রী ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট।

কানের সেরা ছবির বিচারে এবারই সবচেয়ে বেশি নারী বিচারক থাকছেন। নয় সদস্যের প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরিবোর্ডে আছেন কেট, ক্রিস্টেনসহ পাঁচ নারী। তবে ভবি অত সহজে ভোলার নয়। উৎসবের বিরুদ্ধে এবারও উঠেছে ‘সেক্সিজম’-এর অভিযোগ। বেশি বিচারক থাকলেও প্রশ্ন উঠেছে, প্রতিযোগিতা বিভাগে নারী নির্মাতার ছবি এত কম কেন। ২১টি ছবির নির্মাতাদের মধ্যে নারী নির্মাতা মাত্র ৩ জন।

প্রধান বিচারক অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী কেট ব্ল্যানচেট। ছবি: এএফপি
প্রধান বিচারক অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী কেট ব্ল্যানচেট। ছবি: এএফপি

প্রধান বিচারক কেট ব্ল্যানচেট নিজেই গতকাল বলেছেন, ‘এবার জুরিতে অনেক নারী আছেন ঠিক, কিন্তু প্রতিযোগিতায় আরও নারী থাকলে ভালো হতো।’ তিনি আরও বলেন, এটা সত্যি যে পরিস্থিতি বদলেছে। কিন্তু সত্যিকারের বৈচিত্র্যের জন্য আরও অনেক নারীর অংশগ্রহণ লাগবে।

কান উৎসবে নারীদের এমন প্রতিবাদ এবারই প্রথম, তা নয়। এর আগে লালগালিচায় অভিনেত্রীরা কী পোশাক পরবেন, হিলওয়ালা উঁচু জুতা পরবেন কি পরবেন না, এসব বিতর্ক হয়েছে। তবে হার্ভি-কাণ্ডের পর বিতর্ক তার চরম সীমায় পৌঁছেছে। স্কটিশ চিত্রনাট্যকার কেইট মুওর কানকে ‘দুই সপ্তাহের পুরুষ বুদ্ধি ও নারী সৌন্দর্যের’ উৎসব বলে অভিহিত করেছেন।

হার্ভি-কাণ্ডের পর কান উৎসব পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমোও বলতে বাধ্য হয়েছেন, কান আর আগের মতো কখনোই থাকবে না। তাই হয়তো উৎসব কর্তৃপক্ষ এবার নারীদের জন্য প্রথমবারের মতো খুলেছে হেল্পলাইন।

কিন্তু ফ্রেমোর আরেকটি পদক্ষেপ খেপিয়ে তুলেছে প্রতিবাদকারীদের। তিনি ডেনমার্কের নির্মাতা লার্স ফন ট্রিয়ারের ওপর থেকে সাত বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন। এতে অবাক হয়েছেন অনেকে, কারণ ট্রিয়ারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল যৌন হয়রানির। ট্রিয়ারের ছবিটি মনোনয়ন পেয়েছে ‘আউট অব কম্পিটিশন’ বিভাগে। এএফপি।