এক মঞ্চে তিন প্রজন্মের তিন অভিনয়শিল্পী

রুধিররঙ্গিণী নাটকের মহড়ায় রোকেয়া রফিক, জ্যোতি সিনহা ও আজাদ আবুল কালাম
রুধিররঙ্গিণী নাটকের মহড়ায় রোকেয়া রফিক, জ্যোতি সিনহা ও আজাদ আবুল কালাম

তরুণ নাট্যকার ও নির্দেশক শুভাশিস সিনহা একটি নাটক লিখেছিলেন দুই বছর আগে। ঠিক মঞ্চায়ন করার জন্য নয়। নিয়মিত লেখালেখির অভ্যাসেই লেখা হয়েছিল নাটকটি। এবার সেটি মঞ্চায়িত হচ্ছে। সেখানে এক মঞ্চে দেখা যাবে তিন প্রজন্মের তিন অভিনয়শিল্পীকে।

রোকেয়া রফিক, আজাদ আবুল কালাম ও জ্যোতি সিনহা নাটকের মূল কুশীলব। তিন প্রজন্মের তিনজনকে কি সচেতনভাবে বাছাই করেছেন নির্দেশক? উত্তরে শুভাশিস সিনহা বলেন, না, কাকতাল মাত্র। তবে এ সময়ে এই তিন শিল্পীই মঞ্চের শক্তিশালী অভিনেতা। সেই সূত্রে তাঁদের বাছাই করা।

একটি মেয়ের জীবন নিয়েই আবর্তিত হয়েছে নাটকের কাহিনি। এটাকে বাংলার ‘উল্টোপুরাণ’ বলা চলে। মেয়েটি তাঁর প্রেমের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে গিয়ে নানা ধরনের ঘাত-প্রতিঘাতের সামনে পড়ে। নারী সব সময় বঞ্চিত, সে ধারণা থেকে বের হয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করে যায়।

এত দিন কেবল মণিপুরি থিয়েটারের হয়েই নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। এবার বৃত্ত ভেঙে বাইরে এলেন। তাঁর কথায়, মণিপুরি থিয়েটারের একটা স্বতন্ত্র ধারা আছে। তাদের আলাদা ভাষা আছে। তার বাইরে এসে বাংলা ভাষা ও এই সংস্কৃতি নিয়ে বড় আকারে কাজের চিন্তা থেকেই বাইরের দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া। নাটকটি মঞ্চে আনছে নতুন একটি রেপার্টরি দল। নাম ‘হৃৎমঞ্চ’, আর নাটকের নাম রুধিররঙ্গিণী। ১৫ মে থেকে টানা পাঁচ দিন ১০টি শো হবে স্টুডিও থিয়েটার হলে। বিকেল পাঁচটায় প্রথম প্রদর্শনী ও সাড়ে ছয়টায় হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।

রেপার্টরি দলের নাটক মঞ্চায়ন নতুন নয়। তবে আবার হৃৎমঞ্চ কেন? নির্দেশক ও রেপার্টরি দলের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর শুভাশিস বললেন, ‘বর্তমানে নাটক ডিজাইন ও কোরিওগ্রাফি নির্ভরতার দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে বলে শোনা যায়। আমরা ডিজাইন ও কোরিওগ্রাফির সঙ্গে নাটকের আখ্যান ও অভিনয়েরও মিশেল করতে চাই। আমাদের আয়োজন ছোট, তবে তাতে প্রাণের সঞ্চার থাকবে।’