বিজয়ী হওয়ার অনুভূতি মুখে প্রকাশ করার মতো নয়: মিম মানতাসা

>গত শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হয়ে গেল এবারের চ্যানেল আই প্রেজেন্টস লাক্স সুপারস্টার-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। চূড়ান্ত পর্বে সেরা পাঁচ থেকে সুপারস্টারের মুকুট ছিনিয়ে নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্রী মিম মানতাসা। তাঁর সঙ্গে কথা হলো:
মিম মানতাসা
মিম মানতাসা

মিম আপনাকে অভিনন্দন...
ধন্যবাদ।
বিজয়ী হওয়ার অনুভূতি কেমন?

এই অনুভূতি মুখে প্রকাশ করার মতো নয়। এতগুলো ধাপ পার হয়ে চূড়ান্ত পর্বে এসে বিজয়ী হওয়ার অনুভূতি একেবারেই অন্য রকমের।

‘সুপারস্টার’ হওয়ার আশা করেছিলেন?
না। আর এ ধরনের আশা নিয়ে আমি এখানে আসিওনি। আমি সাধারণ একটা মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা, পড়াশোনা করা, ড্রয়িং করা, পেইন্টিং করা—এসবের মধ্য দিয়েই সময় পার করছিলাম। এই ছিল আমার গণ্ডি।

তাহলে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন কেন?
আমি সব সময়ই পরিবর্তন পছন্দ করি। আমি যে জীবন নিয়ে বসবাস করছিলাম, সে জীবনটা চাচ্ছিলাম না। ছোটবেলা থেকে এভাবেই বড় হয়েছি। মনে হচ্ছিল, একটু পরিবর্তন দরকার। নিজেকে আরেকটু এগিয়ে নেওয়া দরকার। মনে হলো, এই প্ল্যাটফর্মটা সবচেয়ে ভালো। এখানে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারব, তুলে ধরতে পারব।

আরও তো প্ল্যাটফর্ম ছিল, এই প্রতিযোগিতায় কেন?
আমার মনে হয়েছে, এই প্রতিযোগিতায় আমি যোগ্য। এখন যদি আমাকে গানের প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে বলা হয়, তা তো আমি পারব না। আত্মবিশ্বাস ছিল এখানেই।

প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন কীভাবে?
চ্যানেল আই প্রেজেন্টস লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা, আমার বড় বোন বেশি উত্সাহিত করেছেন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, আমি পারব। সবার মুখ রাখতে পেরেছি।

প্রথম দিনের অডিশনের গল্প জানতে চাই
প্রথম দিনের অডিশনে বিচারক ছিলেন অপর্ণা আপু। আমি নার্ভাস ছিলাম। তবে আমি ইয়েস কার্ড পাব কি না, তা আমার মাথায় ছিল না। আমি শুধু দেখতে গিয়েছি যে আমার যোগ্যতা কতটুকু, কতটুকু এগোতে পারব।

প্রথম ধাপ পার হওয়ার পর ‘সুপারস্টার’ হওয়ার আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল?
প্রথম ধাপ শেষ করেছি, পরের ধাপে কী করতে হবে, তা শুধুই মাথায় নিয়ে এগিয়েছি। প্রথম ধাপে দাঁড়িয়ে শেষ ধাপের ‘সুপারস্টার’ হওয়ার এত দূরের চিন্তা করিনি।

সেরা দশে যাওয়ার পর মনে তা হয়নি?
না, মনে হয়নি। শুধু যখন সেটা করা দরকার, সেটা গুরুত্ব দিয়ে করে গেছি।

সাবেক লাক্স তারকারা প্রায় সবাই মডেলিং ও অভিনয়ে নিজেদের জড়িয়েছেন। আপনি কী করবেন?
আমি অবশ্যই অভিনয় করতে চাই। বিজ্ঞাপনটা তো করবই। তবে আগে আমি অভিনয়টা শিখতে চাই। এ জন্য অনুশীলন করতে হবে আমাকে।

তাহসান খান, আরিফিন শুভ নাকি সাদিয়া ইসলাম মৌ?—এই তিন বিচারকের মধ্যে কার বেশি ভক্ত আপনি?
মৌ আপু।

নিজে না হলে পাঁচজনের মধ্যে কে বিজয়ী হবে ভেবেছিলেন?
আমি ভেবেছিলাম বৃষ্টিই বিজয়ী হবেন। প্রথম রানারআপ হয়েছেন তিনি।

এ পর্যন্ত যাঁরা লাক্স সুপারস্টার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কাকে আইডল মনে করেন?
বিদ্যা সিনহা মিম।