নিজের অসুস্থতার কথা ফেসবুকে জানালেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

‘একটি ঘরে ছয় বছর গৃহবন্দী থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে আটটা ব্লক ধরা পড়েছে।’ আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল; মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। তিনি আরও লিখেছেন, ‘এরই মাঝে কাউকে না জানিয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে সিসিইউতে চার দিন ছিলাম। আগামী ১০ দিনের মধ্যে হার্টের বাইপাস সার্জারি করানোর জন্য প্রস্তুত আছি।’

‘আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দী থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়।’ লিখেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। গৃহবন্দী থাকার কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধুরা, সরকারের নির্দেশে ২০১২ সালে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় আমাকে সাক্ষী হিসেবে দাঁড়াতে হয়েছিল। সাহসিকতার সঙ্গে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭১ সালে ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস। ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে আমি একজন। হত্যা করা হয়েছিল একসঙ্গে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। কিন্তু এই সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে আমার নিরপরাধ ছোট ভাই মিরাজকে হত্যা করা হবে, তা কখনো বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি।’

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ফেসবুকে লেখা তাঁর এই স্ট্যাটাসে একদিকে যেমন নিজের মনে জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, পাশাপাশি নিজের চিকিৎসার জন্য কারও কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা চাননি। তিনি লিখেছেন, ‘কোনো সরকারি সাহায্য কিংবা শিল্পী, বন্ধুবান্ধবের সাহায্য আমার দরকার নাই। আমি একাই যথেষ্ট। শুধু অপারেশনের আগে ১০ সেকেন্ডের জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা আর কোরআন শরিফ রাখতে চাই।’

এদিকে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের এই স্ট্যাটাসের পর দেশের সংগীত জগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা দ্রুত নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ফেসবুকে অনেকেই এই গুণী মানুষটির চিকিৎসার জন্য এখনই সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি সবাই আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।