গানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা যায়: কোনাল

>

সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে সোমনুর মনির কোনালের গান ‘একলা চলো রে’। গানটির বিষয়-যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানো। গানটি ইতিমধ্যে বেশ আলোচিত। পাশাপাশি করছেন স্টেজ পারফর্মও। বেশ কিছু অ্যালবাম ও এককের কাজ চলছে। এসব নিয়ে কথা হলো প্রথম আলোর সঙ্গে।

সোমনুর মনির কোনাল
সোমনুর মনির কোনাল

‘একলা চলো রে’ গানটি বেশ প্রশংসিত হচ্ছে...
এই গানটা সবার অনেক চেনা। গুনগুন করে প্রায় প্রত্যেকেরই গলায় শোনা যায়। গানটা আমাকে অনেক বেশি স্পৃহা দেয় বলে গানটা বেছে নিয়েছিলাম সবাইকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য। কারণ, আমাদের চারপাশে নারীর সঙ্গে যা ঘটছিল, তাতে আমি অনেক বেশি প্রভাবিত ছিলাম। তাই এই গানটি করা। চারপাশের ঘটনাগুলোই দেখিয়েছি একটু অন্য রকম করে।

কনসেপ্টটা কি আপনার?
হ্যাঁ, আইডিয়াটাও আমার।

রবীন্দ্রনাথের এই গানটিই কেন বেছে নিলেন?
আসলে আর তো কিছু করতে পারছি না। অন্তত গানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা যায়। একলা চলার প্রেরণা দেওয়া যায়-এই চিন্তা থেকে গানটি বাছাই করা। যা কিছুই হোক, অন্তত তুমি হেঁটে চলো। তুমি আপন শক্তিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাও।

এখনকার ব্যস্ততা নিয়ে বলুন।
ঈদের বিভিন্ন চ্যানেলের গানের শুটিং নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। গানের অনুষ্ঠান, আড্ডার অনুষ্ঠান। টুকটাক কিছু মিক্সড অ্যালবামের রেকর্ডিং আছে। কিছু রেকর্ডিং ঝুলে ছিল, ওগুলো করে নিচ্ছি।

কোনো অ্যালবামের পরিকল্পনা আছে?
অ্যালবাম তো এখন হয়ই না। ঈদের পর বেশ কিছু গান করব।

ইউটিউবভিত্তিক গান, না স্টেজ পারফরম্যান্স-কোনটা প্রাধান্য দেন?
দুটি আলাদা বিষয়। ইউটিউবকে বলা যায় গানের প্রচারের একটা জায়গা। আর স্টেজ শোয়ের ব্যাপারটা হলো পুরোপুরি দর্শকের চাহিদার ওপর। দর্শক যাকে চায় বেশি, তারাই বেশি স্টেজ শো করে। এটা পুরোপুরি নির্ধারিত হয় দর্শকের বিবেচনাকে মাথায় রেখে। যারা বেশি শো করে, বোঝা যাবে, দর্শকের চাহিদা তাদের বেশি। অডিও নিতান্তই গানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও আমার ইচ্ছার ব্যাপার।

ফেসবুক পেজ ভেরিফায়েড হলো...
আমরা আবেদন করেছিলাম। তারা মনে করেছে শিল্পী ক্যাটাগরিতে আমাকে ভেরিফাই করা উচিত...।

এমন ব্যতিক্রমী আইডিয়া নিয়ে সামনে গান করার পরিকল্পনা আছে?
সব সময় করা হয়ে ওঠে না। চেষ্টা করি। আশা করছি, সামনে আরও করব। আর একজন সংগীতশিল্পীর শক্তি মিউজিক। সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তো কাজ করতেই হবে। কারণ, শুধু গান দিয়ে বিনোদন দেওয়া আমাদের কাজ নয়। মানুষ হিসেবে সামাজিক কাজ করাও আমাদের দায়িত্ব। আমাদের একটি ছোট সংগঠনও আছে। সেই সংগঠন দিয়ে ছোটখাটো সামাজিক কাজ করি। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের নিয়ে।

এই সময়ে কার সঙ্গে ডুয়েট করতে চান?
(একটু ভেবে) সুবীর নন্দী।

কোন শিল্পীকে দেখে ঈর্ষা লাগে?
শ্রেয়া ঘোষাল।

জাদুর প্রদীপ হাতে পেলে প্রথমে কী করতেন?
কী করতাম...কী করতাম...জানি না (হাসি)।