মেগানের জন্য কেঁদেছেন প্রিয়াঙ্কা

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া


প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের রাজকীয় বিয়ে অনুষ্ঠিত হলো গতকাল শনিবার। যুক্তরাজ্যের উইন্ডসরের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে বিয়ের শপথবাক্য পাঠ করেন তাঁরা। ওই সময় হ্যারির দাদি রানি এলিজাবেথ ছাড়াও আরও ৬০০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অনেক তারকা। তাঁরা বেশির ভাগই পাশ্চাত্যের। বলিউডের একমাত্র তারকা হিসেবে সেখানে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া উপস্থিত ছিলেন। বান্ধবী মেগানের নতুন জীবনের সূচনায় দারুণ খুশি এই নায়িকা। ইনস্টাগ্রামে মেগান ও হ্যারিকে হৃদয়ছোঁয়া এক শুভেচ্ছাবার্তা দেন তিনি।

এখন থেকে হ্যারি ‘ডিউক অব সাসেক্স’ আর মেগান মার্কেল ‘ডাচেস অব সাসেক্স’। মেগান আর হ্যারির রাজকীয় বিয়ের নিমন্ত্রণ পেয়ে যুক্তরাজ্যে উড়ে যান প্রিয়াঙ্কা। বিয়ের আসর থেকে মাত্র ১০ মাইল দূরে ছিল প্রিয়াঙ্কার থাকার ব্যবস্থা। এখানে তিনি আরও নয় দিন থাকবেন। গতকাল সন্ধ্যায় নবদম্পতির সৌজন্যে প্রিন্স চার্লস এক বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেন। সেখানেও আমন্ত্রণ পান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। দিন শেষে ইনস্টাগ্রামে বান্ধবী মেগান ও তাঁর বর প্রিন্স হ্যারির উদ্দেশ্যে দারুণ এক শুভেচ্ছাবার্তা লেখেন ভারতীয় এই তারকা।

প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল
প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল


প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের বিয়ের একটি ছবি প্রকাশ করে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘মাঝে মাঝে এমন মুহূর্ত আসে, যখন সবকিছু থমকে যায়। আজ আমার ক্ষেত্রে তেমনই হয়েছে। আমার বন্ধু মেগান, তুমি লাবণ্য, ভালোবাসা আর সৌন্দর্যের সংক্ষিপ্ত নাম। এই বিয়েতে তোমাদের নেওয়া সব সিদ্ধান্ত ইতিহাস হয়ে থাকবে। শুধু তোমাদের বিয়ে বলেই নয়; বরং এই অসাধারণ বিয়ে পরিবর্তন ও আশার এক উদাহরণ হয়ে হবে। পৃথিবীর জন্য এই পরিবর্তন এখন খুব জরুরি।’

এর সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা আরও যুক্ত করেন, ‘ধন্যবাদ, অনুষ্ঠানের সবকিছু খুব সুন্দর ছিল। তোমাদের এক হওয়া নিজের চোখে দেখতে পেরে আমি খুব আনন্দিত ও ধন্য। তোমাদের ভালোবাসা দেখে আনন্দে আমার চোখে জল এসেছে। তোমাদের দুজনের জন্য অনেক শুভকামনা।’

রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া


মেগান আর হ্যারি তাঁদের বিয়েতে রাজপরিবারের অনেক প্রথা ভেঙেছেন। বিয়ের শপথে মেগান আজীবন স্বামীকে মান্য করার লাইন বাদ দিয়েছেন। রাজপরিবারের প্রথা ভেঙে বিয়ের দিন স্ত্রীর দেওয়া আংটি পরেছেন হ্যারি। এর আগে রাজপরিবারের কোনো পুরুষ বিয়ের আংটি বহন করেননি। মেগানের মাধ্যমেই শ্বেত চামড়ার রাজবংশে এই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ কোনো বউ প্রবেশ করলেন। বিয়ের আগেই তিনি রানির সঙ্গে বড়দিন কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন। ব্রিটেনের রাজপরিবারের ইতিহাসে এমনটিও দেখা যায়নি আগে। তাই এই বিয়েকে একটু অন্যভাবেই দেখছে পুরো বিশ্ব। আর রীতিবদলের এই কৃতিত্ব সবাই দিচ্ছেন রাজপরিবারের নতুন জুটি মেগান ও হ্যারিকেই।