কাস্টিং কাউচ নিয়ে এবার কথা বললেন আলিয়া ভাট

আলিয়া ভাট
আলিয়া ভাট

হলিউড, বলিউড—সব জায়গা এখন ‘কাস্টিং কাউচ’ বিতর্কে সরগরম। গত বছর থেকেই মূলত নারী তারকাদের যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো সামনে আসতে থাকে। তবে হলিউড অভিনেত্রীরা এ ক্ষেত্রে যতটা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, বলিউডে তা দেখা যায়নি। বলিউডের অধিকাংশ তারকাই কাস্টিং কাউচ বিতর্কে মন্তব্য না করে গেছেন পাশ কাটিয়ে। অনেকে রীতিমতো এমন ঘটনার অস্তিত্বও উড়িয়ে দেন। সম্প্রতি নায়িকা আলিয়া ভাট এ নিয়ে মুখ খুলেছেন।

‘রাজি’ ছবির তারকা বলেন, হঠাৎ করেই কাস্টিং কাউচ বিষয়টি যেন খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো বিষয়ে মন্তব্য করলেই পরিবেশটা নেতিবাচক হয়ে যায়। সবাই তখন ভাবতে শুরু করেন চলচ্চিত্র জগৎটাই খারাপ।’ তবে তিনি এ কথাও স্বীকার করেন যে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পেতে অনেক ছেলেমেয়েকেই মিডিয়ায় সংগ্রাম করতে হয়। আলিয়া ভাটের ভাষ্য, ‘এই অঙ্গনে টিকে থাকতে একেকজনকে একেক রকম সংগ্রাম করতে হয়। অনেকে এ সময় নিজের লাভের জন্য সংগ্রামী শিল্পীর কাছ থেকে সুবিধা ভোগ করে।’

বলিউডে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইলে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখার পরামর্শ দেন আলিয়া। আর কাস্টিং কাউচের ঝামেলায় পড়লে সবার আগে অভিভাবককে জানাতে হবে। আর প্রয়োজনে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পরামর্শও দেন তিনি।

বলিউডে কাস্টিং কাউচের সবচেয়ে বেশি শিকার হন নতুন মেয়েরা। অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি খোলাখুলিভাবে জানাচ্ছেন অভিনয়শিল্পীরা। বলিউড তারকা ইলিয়েনা ডি’ক্রুজ, উর্বশী রৌতেলা, রাধিকা আপ্তে, কঙ্গনা রনৌত, কৃতি শ্যাননও মুখ খুলেছেন এর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কাস্টিং কাউচ নিয়ে কোরিওগ্রাফার সরোজ খান মন্তব্য করে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন। সরোজ খান যদিও তাঁর মন্তব্যে বলেছিলেন, তিনি কাস্টিং কাউচ ব্যাপারটিকে ‘ধর্ষণে’র শামিল বলে মনে করেন।

সরোজ খানের মতে, কাস্টিং কাউচের মতো ঘটনা অনেক দিন ধরে চলে আসছে। সব জায়গাতেই নারীর ওপর কারও না কারও নজর থাকে। সে সরকারি কোনো কাজের জায়গা হোক বা অন্য কোথাও। কিন্তু সবাই সব ক্ষেত্রে বলিউডকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। কেন সবাই সব সময় বলিউডকে দোষ দেয়, সে প্রশ্নও তিনি তোলেন। বলিউড অভিনয়শিল্পীদের ভাত জোগায়, তাই সিনেমা জগৎকে তাঁদের ‘বাবা-মা’ বলেও মনে করেন বলিউডের জনপ্রিয় এই কোরিওগ্রাফার।

জাতীয় পুরস্কার পাওয়া সরোজ খান বলেন, যখন কাস্টিং কাউচের বিষয়টি সামনে আসে, তখন সবকিছু নির্ভর করে ওই নারীর ওপর। তিনি কী করতে চাইছেন, তার ওপরই নির্ভর করে সবকিছু। কেউ নিজেকে বিক্রি করে দেবেন কি না, সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তাই শুধু ছবির জগৎকে সব সময় দোষ দেওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।