লাক্স সুপারস্টার হওয়ার পর বদলে গেছে জীবন

মিম মানতাসা, সারওয়াত আজাদ ও সামিয়া অথই।
মিম মানতাসা, সারওয়াত আজাদ ও সামিয়া অথই।

১১ মে, শুক্রবার। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হন লাক্স সুপারস্টার মিম মানতাসা। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ নির্বাচিত হন যথাক্রমে সারওয়াত আজাদ এবং সামিয়া অথই। নির্বাচিত হওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন মানতাসা। অভিনয় করেছেন ফেরদৌস হাসানের পরিচালনায় টেলিছবি ‘ভবঘুরে’তে। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন প্রতিযোগিতার বিচারক তাহসান খান। শুধু অভিনয় নয়, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই জীবন বদলে গেছে মানতাসার। গতকাল মুঠোফোনে বলেন, ‘বাইরে গেলে ছবি তো তুলতেই হচ্ছে। এ কারণে একটু ভিড় ও লোকসমাগমের জায়গাগুলো এড়িয়ে চলছি। নাটকের শুটিং করছি। সামনে আরও কিছু কাজ হবে।’

মিম মানতাশা পড়াশোনা করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক বছর আগেও সাদামাটা জীবন ছিল তাঁর। এখন সবকিছু রঙিন। মানুষ চিনছে। তাঁকে নিয়ে আলোচনা করছে। এটা বেশ উপভোগ করছেন এখন।

একই অবস্থা দুই রানারআপেরও। প্রথম রানারআপ সারওয়াত আজাদ (ডাক নাম বৃষ্টি) এখনো অভিনয়ে নামেননি। তবে বেশ কিছু ফটোশুটে অংশ নিয়েছেন। আর আজ থেকে শুরু করছেন একক নাটকের শুটিং। মঈনুল খানের গল্পে দ্য বস নামের নাটকটি নির্মাণ করছেন আবু হায়াত মাহমুদ। এই নাটকে বৃষ্টির বিপরীতে অভিনয় করছেন মোশাররফ করিম। কদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বৃষ্টি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে গেলে বন্ধুরা ঘিরে ধরছে। গল্প শুনতে চাইছে। আত্মীয়স্বজন ফোন করছেন, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নানা ধরনের কাজের কথা হচ্ছে। তবে আগের জীবনের সঙ্গে এখন অনেক কিছুই নতুন যুক্ত হচ্ছে। এটা বেশ উপভোগ করছি।’

তবে সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন দ্বিতীয় রানারআপ সামিয়া অথই। টানা ১০ পর্বের একটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন। ‘চিলেকোঠার গল্প’ নামের নাটকটি পরিচালনা করেছেন বাসার জর্জিস। ঈদের আগেই নাটকটি একযোগে বেশ কয়েকটি চ্যানেলে প্রচারিত হবে। একই সঙ্গে গতকাল থেকে অথই শুরু করেছেন চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে নামের আরও একটি নাটকের শুটিং। রেজানূর রহমান পরিচালিত এই নাটকেও আজ শুটিং করবেন তিনি। নিজের কাজ প্রসঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুরো প্রতিযোগিতায় অনেক কিছু শিখেছি। এখন সময় এসেছে কাজে লাগানোর। সেই চেষ্টা করছি। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই।’

মূল প্রতিযোগিতার আগে এই তিনজনসহ মোট পাঁচজনকে নানাভাবে গ্রুমিং করা হয়। নাচ, অভিনয়, র‍্যাম্পে হাঁটাসহ মিডিয়ার নানা কাজের ক্ষেত্রে দক্ষ করে তোলা হয়। ওই গ্রুমিং তাঁদের জীবন অনেকটাই বদলে দিয়েছে। প্রথম আলোর সঙ্গে এক আড্ডায় তিনজনই জানিয়েছেন, এই গ্রুমিং তাঁদের সারা জীবন কাজে লাগবে। সেভাবেই চলবেন সামনের পথ।