পুবাইল টু কক্সবাজার, 'সুপারহিরো' থেকে 'ক্যাপ্টেন খান'

‘সুপারহিরো’ ছবির শুটিংয়ে শাকিব খান ও বুবলী
‘সুপারহিরো’ ছবির শুটিংয়ে শাকিব খান ও বুবলী

বেশ ভালোই দৌড়ের ওপর আছেন শাকিব খান। ভারতের কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে শাকিব খানের বিশ্রাম এক দিনের। এরপর গেলেন ঢাকার অদূরে পুবাইলে। দিন থেকে রাত পর্যন্ত শুটিং করলেন ‘সুপারহিরো’ ছবির। ফিরে এসে আজ রোববার সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়লেন ঢাকা। সেখানে দুই সপ্তাহের মতো থাকবেন, ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবির শুটিং শেষ করে তবেই ঢাকায় ফিরবেন।

রোববার বিকেলে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে তেমনটাই জানালেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান।

‘সুপারহিরো’ ছবিটি এবারের ঈদে মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। অল্প কিছু কাজ বাকি, ভারতের কলকাতা থেকে এসেই ছবিটির কাজ শেষ করেন। অন্যদিকে কলকাতায় ‘মাস্ক’ ছবির কাজের কারণে কিছুদিন আগে ঢাকায় শুটিং করা ক্যাপ্টেন খান ছবির কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারেননি। তাই এবার কক্সবাজারে ছবিটির কাজ শেষ করতে চান শাকিব।

রোববার সকাল থেকেই কক্সবাজারের নানা জায়গায় ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের শুটিং শেষে শাকিব আবার উড়াল দেবেন কলকাতায়।

‘সুপারহিরো’ ছবির শুটিংয়ে শাকিব খান ও বুবলী
‘সুপারহিরো’ ছবির শুটিংয়ে শাকিব খান ও বুবলী

শুটিংয়ের ফাঁকে ঢালিউডের জনপ্রিয় এ নায়ক বলেন, ‘এবার ভাবছিলাম ওমরাহ পালন করতে যাব। আরও কত পরিকল্পনা। শুটিংয়ের অবস্থা এমন, বাসায় ইফতার করারও সুযোগ পাচ্ছি না। কলকাতায় গিয়েছিলাম, “মাস্ক” ছবির শুটিং শেষ করতে। কিন্তু তিন দিন বৃষ্টির কারণে কাজ শেষ না করেই ঢাকায় ফিরতে হয়েছে। কারণ এখানকার শিডিউল আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।’বরাবরের মতো এবারের ঈদেও একাধিক ছবি নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছেন শাকিব খান। দেড় যুগের অভিনয়জীবনে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন আকাশছোঁয়া সাফল্য। তবে ২০১৬ সালে জয়দীপ মুখার্জির ‘শিকারি’ মুক্তির পর হঠাৎ করেই বদলে দেয় শাকিব খানকে। ছবির পর বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও শাকিবের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হতে থাকে। পরিচালক, প্রযোজক থেকে শুরু করে নায়ক-নায়িকারা বাংলাদেশের শাকিবের প্রশংসা পঞ্চমুখ হতে থাকেন। সেই ধারাবাহিকতায় কলকাতার প্রযোজকেরাও শাকিবকে নিয়ে একের পর এক ছবি বানাচ্ছেন। দেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও এই নায়ককে ঘিরে আগের চেয়ে বেশি বাজেটের ছবি বানানোর পরিকল্পনা করছেন। অনেকে তো এ-ও বলছেন, এবারের ঈদও হবে শাকিবময়। প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরাও অন্য নায়কের চেয়ে শাকিবের ছবিতে বেশি আস্থাশীল। তাঁদের মতে, শাকিব মানে নিশ্চিত ব্যবসা।

‘সুপারহিরো’ ছবির শুটিংয়ে শাকিব খান ও বুবলী
‘সুপারহিরো’ ছবির শুটিংয়ে শাকিব খান ও বুবলী

এবারের ঈদে শাকিব অভিনীত যে ছবিগুলো মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে, তার মধ্যে ‘সুপারহিরো’ ছাড়াও আছে আবদুল মান্নানের ‘পাঙ্কু জামাই’, উত্তম আকাশের ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’, কলকাতার জয়দীপ মুখার্জির ‘ভাইজান এলো রে’।

‘পাঙ্কু জামাই’ ছবিতে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাস। শাকিব অভিনীত ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’ ও ‘সুপার হিরো’ ছবি দুটিতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী। আর ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি আমদানি নীতিমালায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছবিতে শাকিবের বিপরীতে কলকাতার শ্রাবন্তী ও পায়েল সরকার অভিনয় করেছেন।ঈদের ছবি প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘আমাদের দেশে ঈদ সবচেয়ে বড় একটা উৎসব। চলচ্চিত্র অভিনয়জীবনে সব সময় দেখেছি, ঈদের সময় প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরাও বড় বাজেটের এবং ভালো মানের ছবি প্রদর্শন করতে চান। আমার মনে হয়, এই সময়টাতে প্রেক্ষাগৃহে নতুন দর্শকও আসেন। তাই প্রযোজক-পরিচালকের উচিত, ভালো মানের এবং ভিন্ন গল্পের ছবি উপহার দেওয়ার চেষ্টা করা।’

শাকিব আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর জন্য আলাদাভাবে প্রশংসা পেয়েছি। ব্যবসায়িকভাবে সফলতা পেয়েছে। এবারের ঈদেও তেমনটাই আশা করছি।’

চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, শাকিব খান ইদানীং যেসব ছবিতে অভিনয় করছেন, সেখানে চরিত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লুক, গেটআপ ও ফিগারে দারুণ পরিবর্তন এনেছেন। বলা যায়, আগের চেয়ে অনেক সচেতন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ছবিগুলোর টিজার ও ট্রেলার দেখে তেমনটা নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে।