'লাভ বার্ড' রেস্তোরাঁয় আসা মানুষজনের গল্প

গল্পগুলো আমাদের নাটকে সৈয়দ হাসান ইমাম ও দিলারা জামান
গল্পগুলো আমাদের নাটকে সৈয়দ হাসান ইমাম ও দিলারা জামান

মাঠের হাফ সেঞ্চুরি নয়, কিংবা নয় কারও বয়সেরও! এটা একটা নাটকের ৫০। আজ প্রচারিত হবে ‘গল্পগুলো আমাদের’ নাটকের ৫০ তম পর্ব। হরহামেশাই টেলিভিশনে প্রচারিত হয় ধারাবাহিক নাটক। কিন্তু এ নাটককে আলাদা করা যায় একটি কারণেই, এতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৈয়দ হাসান ইমাম ও দিলারা জামান।

এই সময়ের বেশির ভাগ নাটকেই যখন দুজন জনপ্রিয় তরুণ অভিনয়শিল্পী আর দুটি মুঠোফোন হয়ে ওঠে নাটকের প্রধান চরিত্র, তখন বর্ষীয়ান এমন দুই অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে একটি নাটকের ৫০ পার করা ছোট কোনো ব্যাপার নয়। কিছুদিন আগে প্রথম আলোর ক্রোড়পত্র ‘আনন্দ’-এর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেছিলেন, ‘নাটক থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে মা-বাবার চরিত্র।’ তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে একমত হন অনেকেই। সেদিক থেকেই অন্য রকম এই নাটক। নাটকটির নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান বললেন, ‘আমার নাটকের মূল বিষয় গল্প। দর্শক পছন্দ করবে, এমন গল্পই সব সময় বাছাই করি। আমরা নাটকে ৫টি প্রজন্মের গল্প বলেছি। এই যে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের একটা ফাঁক রয়েছে, সেটাই দেখানোর চেষ্টা করেছি, যেখানে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৈয়দ হাসান ইমাম ও দিলারা জামান জুটি।’

গল্পগুলো আমাদের নাটকে সৈয়দ হাসান ইমাম ও দিলারা জামান মিলে একটা রেস্তোরাঁ চালান। রেস্তোরাঁর নাম ‘লাভ বার্ড’। দুজন মিলে সেখানে আসা তরুণ-তরুণীদের আবেগ দেখেন, ভালোবাসা দেখেন। মান-অভিমান বা সমস্যা হলে এগিয়ে গিয়ে সমাধান করে দেন। সঙ্গে স্পেশাল ডিশ তো থাকেই। তাঁদেরও সন্তান আছে। তাদের নিয়েও গল্প আছে নাটকে।

নাটকটি নিয়ে কথা হলো অভিনেত্রী দিলারা জামানের সঙ্গে। বললেন, ‘অনেক দিন পর অন্য রকম একটা নাটকে অভিনয় করেছি। আমাদের নিয়ে এখন গল্পই হয় না। এই নাটকে পোশাক-আশাকও অন্য রকম। সব মিলিয়ে একটা ভিন্নধর্মী কাজ করেছি।’

গল্পগুলো আমাদের প্রচারিত হয় প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে। প্রচারের পরপরই তোলা হয় এনটিভির ইউটিউব চ্যানেলে। সেখানেও সাড়া মিলেছে বেশ। এনটিভির অনুষ্ঠানপ্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দ বললেন, ‘বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক আমাদের চ্যানেলে প্রচারিত হয়। কিন্তু ইউটিউবে বেশি সাড়া পাওয়া যায় এই নাটকটি থেকেই। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা সব সময় তারকানির্ভর ও হালকা গল্পের নাটকগুলোকে প্রাধান্য দিই। অবশ্য এর পেছনে একটা ব্যবসায়িক বিষয়ও আছে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়।’

নাটকের মূল ভাবনা মিজানুর রহমান আরিয়ানের। চিত্রনাট্য লিখেছেন অবয়ব সিদ্দিকী। গল্পগুলো আমাদের নাটকের দর্শকদের জন্য দুঃসংবাদ হলো আসছে জুনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে নাটকটি।