চলচ্চিত্র সমালোচনা

>ঈদে মুক্তি পেয়েছে পাঁচটি চলচ্চিত্র চিটাগাংইয়া পোয়া নোয়াখাইলা মাইয়া, সুপার হিরো, পাংকু জামাই, পোড়ামন-২ ও কমলা রকেট। পাঁচটি ছবির জোরেই খুলেছে বেশ কিছু নতুন সিনেমা হলও। ছবি দেখতে দর্শক সমাগমও কম নয়। কিন্তু সমালোচকেরা কী বলেন? আজকের আনন্দে প্রকাশিত হলো দুটি ছবি পোড়ামন-২ ও কমলা রকেট-এরসমালোচনা। 

কমলা রকেট
স্টিমারে ভাসমান সাম্প্রতিক বাংলাদেশ
ফাহমিদুল হক

কমলা রকেট ছবির দৃশ্যে মোশাররফ করিম
কমলা রকেট ছবির দৃশ্যে মোশাররফ করিম

কমলা রকেট একটি স্টিমারের গল্প, ইংরেজিতে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য অরেঞ্জ শিপ’। ঢাকা থেকে খুলনাগামী স্টিমারটির যাত্রী যে মানুষগুলো, তাঁদের কাহিনি হলো কমলা রকেট। তবে এ কেবল স্টিমারে থাকা অনেক মানুষের আলাদা আলাদা ব্যক্তিগত গল্প নয়, এটি হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক বাংলাদেশেরই গল্প। উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত—সব শ্রেণির মানুষই আছে এখানে, এরা পরস্পর অপরিচিত হলেও পারস্পরিক যোগও রয়েছে।

আতিক হলো উচ্চবিত্তের প্রতিনিধি, ফার্স্ট ক্লাস কেবিনে ভ্রমণ করছে, ‘মাল্টিপল বিজনেস আছে’ বলে নিজেকে বর্ণনা করে। মনসুর হলো নিম্নবিত্তের প্রতিনিধি, যে নিজের স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে একই স্টিমারে ভ্রমণ করছে। এদের মধ্যে যোগ হলো, কারখানায় আগুন লেগে গেলে মনসুরের পোশাক-কর্মী স্ত্রী মারা গেছে, আর সেই কারখানার মালিক হলো আতিক, পুরোনো ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগিয়ে ইনস্যুরেন্স থেকে টাকা বাগানোর জন্য আগুন লাগিয়ে আত্মগোপন করতে মোংলায় বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছে। উঠতি এক ধনিক পরিবারও ফার্স্ট ক্লাসে রয়েছে, যার কর্তার রয়েছে গাড়ি বিক্রির ব্যবসা, যে সপরিবার কানাডায় অভিবাসন করার ধান্দায় আছে, যার স্ত্রী গতানুগতিকভাবে কলহ ও সন্দেহপ্রবণ, শিশুসন্তানের পরীক্ষা নিয়ে অকারণে উদ্বিগ্ন। এই পরিবারের সঙ্গে রয়েছে স্ত্রীটির বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া বোন, যে বর্তমান ‘কনফিউজড’ তারুণ্যের প্রতিনিধি—দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চায়, আবার বিদেশেও যেতে চায়, টিপিকাল চাকরি-বাকরিতে আগ্রহ নেই আবার বিসিএসের রেজাল্টে টিকলে খুশি হয়, অন্যদিকে যে আবার প্রেম-যৌনতা বিষয়ে অ্যাডভেঞ্চারাস, রাতে চুপিসারে ছেলেবন্ধুকে কেবিনে এনে তোলে। এদের সবার সঙ্গে যোগসূত্র হয়ে ওঠে এক বর্ণিল ও বহুমুখী চরিত্র মফিজ। সব চরিত্র আমাদের মোটামুটি চেনা হলেও মফিজ আমাদের জানাশোনা মানুষজনের বাইরের এক চরিত্র—স্টিমারের ইঞ্জিনরুম থেকে ফার্স্ট ক্লাস কেবিন পর্যন্ত তার অবাধ যাতায়াত; একদিকে সে নানান ‘শাস্ত্রীয়’ বাণীসমৃদ্ধ বইয়ের লেখক, অন্যদিকে স্টিমারের লোকজনের মনোরঞ্জনের জন্য যৌনকর্মী সরবরাহকারীও বটে। উচ্চবিত্তের আতিকের সঙ্গে সে গায়ে পড়ে আলাপ করে, আবার নিম্নবিত্তের মনসুর তার পরিচিত-আত্মীয়ের মতো। স্টিমারের যে ছোট সার্কাস পার্টি, সারাক্ষণ খেলা দেখিয়ে চলেছে, তারও কো-অর্ডিনেটর সে। তার শাস্ত্রীয় বাণীসমৃদ্ধ বইগুলোকে মনে হবে অবৈজ্ঞানিক কুসংস্কারে পরিপূর্ণ—যেমন কোন রাতের কোন সময়ে স্ত্রী সহবাস করলে সন্তান চোর হবে ইত্যাদি ধরনের প্রশ্নের উত্তর তার বইয়ে লেখা থাকে। তবে এই সব জ্ঞান সে অর্জন করেছে গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে, মানুষের মুখের কথা ও বিশ্বাস লিপিবদ্ধ করে চলেছে সে। সে হিসেবে তার বই হলো মিথ ও সংস্কারের ভান্ডার, অজান্তেই সে নৃবৈজ্ঞানিক মাঠ গবেষণার কাজ করে চলেছে। তার কথাবার্তায় অনেক সময় বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার ছাপ পাওয়া যায়—চেহারা দেখে সে বলে দিতে পারে মানুষের ভেতরটা, কপাল চওড়া ও ছোট হওয়ার মধ্যেই নাকি লুকিয়ে থাকে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এই ধারণাকে আতিক চ্যালেঞ্জ করলে, সে স্বীকার করে বলে মানুষের মনটা তো পড়া যায় না, চেহারাই মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। চরিত্র হিসেবে আতিক, মনসুর, স্বামী-স্ত্রী ‘ফ্ল্যাট’ (অনুমানযোগ্য), আর মফিজ হলো ‘রাউন্ড’ (অনুমান অযোগ্য) চরিত্র। তরুণী চরিত্রটিকেও রাউন্ড চরিত্র বলা যায়।

যাত্রাকালে স্টিমারটি দুইবার আটকে যায়। একবার কুয়াশার কারণে, আরেকবার চরে আটকে গিয়ে। যাত্রা বিলম্বিত হয়। বিশেষত স্টিমার চরে আটকে গেলে খাদ্যসংকট দেখা দেয়। কেবল ডাল-ভাত তখন উচ্চদরে বিক্রি হতে থাকে। লম্বা লাইন এড়ানোর জন্য আতিক মফিজের দ্বারস্থ হয়। মফিজ বিশেষ ব্যবস্থায় খাদ্য সংগ্রহ করে এবং নিজের জায়গায় এনে খেতে দেয়। সেখানে শোকগ্রস্ত মনসুরও ভাতের থালা হাতে চুপচাপ বসে আছে। এদিকে মনসুরের স্ত্রীর লাশের দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। মফিজের সূত্রে আতিক জানতে পারে, তার ফ্যাক্টরিতে পুড়ে যাওয়া এক কর্মীরই লাশের দুর্গন্ধ এখন স্টিমারে। আতিকের খাওয়া হয় না, বমি করতে উদ্যত হয়। কেবল ডাল-ভাত যেন একটু ভালো লাগে, তাই আতিকের দিকে দুটো কাঁচামরিচ এগিয়ে দেয় মনসুর।

কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের ‘মৌলিক’ ও ‘সাইপ্রাস’ নামের দুই ছোটগল্পকে এক জায়গায় এনে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন নূর ইমরান মিঠু। কাহিনিকার ও পরিচালক দুজন মিলেই চিত্রনাট্য চূড়ান্ত করেছেন। এক স্টিমার যাত্রার মধ্য দিয়ে বর্তমান বাংলাদেশের একটি বড় চিত্রই উঠে এসেছে। স্টিমারের সীমিত পরিসর এবং পুরো দেশের বৃহৎ পরিসরের মধ্যে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট যথেষ্ট হয়েছে। তৈরি পোশাকশিল্পে যে শ্রম-শোষণ ও নিরাপত্তাঝুঁকি এবং মুনাফালোভী মালিকশ্রেণির যে দুর্বৃত্তায়ন, তা ঠিকই চলচ্চিত্রে ধরা পড়েছে। এ ছাড়া তরুণী চরিত্র এবং অন্যান্য ছোট কিছু তরুণ চরিত্রের মাধ্যমে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের বেকারত্ব কিংবা অস্থিরতার বিষয়টিও চলচ্চিত্রে ভালোভাবে এসেছে। কাহিনিতে নাটকীয়তা একটু কমই। কাহিনির বেশির ভাগটাই বর্ণিত হয়েছে আতিকের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে, সে বুঝতে পারে, মনসুরের কাছে সে কত বড় শত্রু, কিন্তু মনসুর কিছুই বুঝতে পারে না। ফলে কাহিনিতে কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হয় না, বুর্জোয়া আতিকের মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েনই তার জন্য একমাত্র বরাদ্দকৃত শাস্তি হিসেবে থেকেছে। চলচ্চিত্র দেখতে দেখতে দর্শকমনে চাহিদা তৈরি হবে, পলাতক আতিকের পরিচয় প্রকাশ হোক, মনসুর প্রতিশোধস্পৃহ হোক। হয়তো আতিক বেঁচেও যাবে শেষ পর্যন্ত, কিন্তু পরিচয় প্রকাশটি কাহিনিতে আসলে বাড়তি ক্লাইমেক্স তৈরি হতো, তা চলচ্চিত্রের জন্য ভালো হতো। ফেসবুকের যুগে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার ছবি প্রকাশ হওয়া কোনো ঘটনাই ছিল না। চলচ্চিত্রের কাহিনি যেভাবে এগিয়েছে, শেষটা সেই বিচারে খুব সাদামাটা।

এই চলচ্চিত্রের সেরা দৃশ্য হলো আতিকের দুঃস্বপ্ন দৃশ্যটি, পানিতে ডুবে যাচ্ছে আতিক, একটি সাপ তার গলা পেঁচিয়ে ধরেছে আর তার চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তৈরি পোশাকের সব গ্লোবাল ব্র্যান্ড। এ ক্ষেত্রে সাপটা প্লাস্টিকের না হয়ে আরও বাস্তবানুগ হলে ভালো হতো। শোকগ্রস্ত মনসুর স্থির বসে আছে আর পশ্চাতে সার্কাস খেলা চলছে—এ রকম ফ্রেমিং জীবনের বৈপরীত্যকে ভালোভাবে তুলে ধরেছে। মফিজের চরিত্রে মোশাররফ করিম ভালো করেছেন, তবে আতিকের চরিত্রে তৌকীর আহমেদের আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। তুলনায় তরুণীর চরিত্রে সামিয়া সাঈদ ভালো করেছেন। মনসুরের চরিত্রে জয়রাজ মানানসই ছিলেন। চিত্রগ্রাহক গোলাম মাওলা নবীরের ড্রোন শটগুলো নদীবক্ষে কমলা রঙের স্টিমারকে ভালোভাবে তুলে এনেছে। তবে চরে আটকে পড়া স্টিমারকে যখন দেখানো হয়, তখন যে পূর্ণ-নদীকে আমরা দেখি, তা বিশ্বাসযোগ্য হয় না। লাশ ক্রমশ পচছে, আর পোকা-মাছির ভনভনানি বাড়ছে, শৈব তালুকদারের শব্দগ্রহণের এ কাজটি ভালো হয়েছে। তবে মফিজের গুরুর ভোকাল সংগীতটির মিক্সিং ঠিক হয়নি। দৃশ্যান্তরে গেলেও গানের শাব্দিক মাত্রা একই থেকে গেছে। কিছু কিছু অতি হ্রস্ব দৃশ্য স্টিমার ও চলচ্চিত্রের ধীর ছন্দের সঙ্গে মানানসই হয়নি। সম্পাদক সামির আহমেদ এদিকে আরও যত্নবান হতে পারতেন। পাভেল আরিনের নেপথ্য সংগীত মানানসই হয়েছে।

পিঁপড়াবিদ্যার অভিনেতা নূর ইমরান মিঠু পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্রটি একটি ভালো প্রয়াস, তা আমরা বলতে পারি।

লেখক: চলচ্চিত্র সমালোচক। অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


পোড়ামন ২
সিনেমার শিল্পী সংকটে শুভ যোগ
মতিন রহমান

পোড়ামন ২ ছবির দৃশ্যে পূজা ও সিয়াম
পোড়ামন ২ ছবির দৃশ্যে পূজা ও সিয়াম

সূচনাদৃশ্যে জেসমিন (কাফিল মিয়ার কন্যা) এবং অন্তিমদৃশ্যে পরী (গল্পের নায়িকা) নামের প্রেমচ্যুত দুই নারীর ফাঁসমৃত্যু দ্বারা পোড়ামন ২ সিনেমার গল্প গঠন। দর্শককে চমকে দেওয়া এই দুই শোক স্পর্শের ঘটনার মাঝে সুজন শাহ (চিত্রনায়ক সালমান শাহ ভক্ত) নামের এক যুবকের সঙ্গে একরোখা ধনীর কন্যা পরীর প্রেম কাহিনিতে যুক্ত। তালুকদার কন্যা পরী কৈশোরকাল থেকে সুজন শাহকে পছন্দ করে। একসময় প্রেমের লুকোচুরি খেলায় উভয়ে ধরা পড়ে। পোড়ামন ২ গল্পটি তুঙ্গ মুহূর্ত স্পর্শ করে। পিতার পছন্দের পাত্রের সঙ্গে পরীর সম্পর্ক স্থির হয়। গৃহবন্দী হয় পরী। অস্তিত্বমান সংকট পেরিয়ে সুজন শাহ পরীকে নিয়ে নিরুদ্দেশ যাত্রা করে। পথে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পরীর ভাই কর্তৃক সুজন শাহ খুন হয়। স্বপ্নশূন্য পরী আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া বাংলা সিনেমার সহজাত বৈশিষ্ট্য পোড়ামন ২ ওখানেই সমাপ্ত হওয়ার কথা। কিন্তু নির্মাতা সুজন শাহকে প্রাণে ফিরে আনেন, ফাঁসির দড়ি কেটে পরীকে উদ্ধার এবং মৃত পরীর দেহ ধারালো অস্ত্রে জখম করান।

সুজন শাহর কণ্ঠে উচ্চারণ করান, ‘পরী আত্মহত্যা করে নাই। পরীকে সে খুন করেছে।’ এ গ্রামে আত্মহনন করা লাশের দাফন হয় না। এখন পরী নামের মেয়েটি অন্তিম সম্মানে দাফন হবে। বড় ভাইয়ের (বাপ্পা) কাছে সুজন শাহর সংলাপ পৌঁছে দিয়ে নির্মাতা রায়হান রাফি পোড়ামন ২ সিনেমার সমাপ্তি ঘটান। ফলে স্পষ্ট হয় আত্মহননের মুর্দার দাফন না করার অন্ধযুক্তির পুনর্বয়ন।

ইদানীং ক্যামেরার যান্ত্রিক কৌশল ব্যবহারের যে সংক্রামক ঝোঁক প্রায় প্রতিটি চলচ্চিত্রের অঙ্গশোভাকে স্থূল করে, সে ক্ষেত্রে পরিচালক যথেষ্ট সংযমের পরিচয় দিয়েছেন। ক্যামেরার ভাষায় অযথা ব্যঞ্জনা সৃষ্টির চেয়ে চরিত্র ও ঘটনার প্রত্যক্ষ পারম্পর্যকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। গ্রামবাংলার রূপ ও প্রকৃতির বহুদূর প্রসারিত সৌন্দর্য ধারণে কিছু ড্রোন শট ব্যবহার করেছেন। মর্গে লাশসহ ট্রলি শটে পরিচালক জন্মান্ধ করে ফেরার ইঙ্গিত দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

তবে পূর্ণ সিনেমায় ঋতু অথবা সময় চিহ্নিত করা গেলে পরিবেশমূল্য অর্থবোধক হতো।

২.

পরীদের খাবার টেবিল দৃশ্য থেকে অ্যাকশন চিহ্ন কখনো সংলাপ সূত্রে সুজন শাহ দৃশ্যের ইন্টার কাট করা এবং নায়ক-নায়িকার বাসে পালানোর দৃশ্যে বিকট শব্দে বাস থামানো ফ্ল্যাশ ব্যাক দৃশ্যটি চরম নাটকীয়তা পূর্ণ। সম্পাদনা ভাষায় মাধুর্যপূর্ণ।

৩.

ঘর নির্মাণ ঘরামি শ্রমিকের কাজ। দ্বিতীয়ত, সিনেমায় শিল্প নির্দেশনা শিল্পীর কাজ। সুজন শাহ বাড়ি, পরীদের বাড়ি সংলগ্ন বিকল্প নির্মাণসমূহ প্রথম সত্যকেই প্রমাণ করে।

৪.

প্রতিটি গানের সুর-সংগীত ও গীতশব্দ দৃশ্যানুযায়ী রচিত, সংযুক্ত।

৫.

সড়কে খুন দৃশ্যে সুজনের শেষনিশ্বাস ত্যাগ থেকে ছেদ ঘটিয়ে আবহে পাখির ডাক ধ্বনি প্রতিমায় দ্যোতিত হয় মহাশূন্যতা।

৬.

অভিজ্ঞ সব শিল্পীর সঙ্গে পরীর বড় ভাই চরিত্রে নিজস্বতায় উজ্জ্বল এবং নতুন মুখ সিয়াম আহমেদ ও পূজা চেরী রায় প্রাণবন্ত ও সাবলীল। এ দেশের সিনেমার শিল্পী সংকটে দুজনই শুভ যোগ।

লেখক: চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।