
গতকাল শুক্রবার ভারতসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে মুক্তি পেয়েছে রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ছবি সঞ্জু। ছবির নাম–ভূমিকায় অভিনয় করা রণবীর কাপুরকে ঘিরে তো আলোচনার শেষ নেই। মুক্তির আগেই সঞ্জুর জন্য প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন তিনি। তবে ছবির অন্য শিল্পীরাও কিন্তু প্রশংসার দাবি রাখে, অন্তত ট্রেলার দেখে তো তা-ই বলা যায়। দিয়া মির্জার কথাই ধরা যাক। তিনি সঞ্জু ছবিতে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের বর্তমান স্ত্রী মান্যতা দত্তের চরিত্রে। ট্রেলারে থাকা তাঁর কয়েক ঝলকই নজর কেড়েছে অনেকের। তা ছাড়া ছবির প্রচারণায়ও সরব থাকা এই অভিনেত্রী সেই কবে থেকেই সঞ্জুর প্রচারণার জন্য রাতদিন এক করে দিচ্ছেন। কিছুদিন আগে প্রচারণার এক ফাঁকে দিয়া প্রথম আলোর মুখোমুখি হয়েছিলেন। সে সময় সঞ্জু ছাড়াও তিনি কথা বলেছিলেন তাঁর শৈশব, ঈদ উদ্যাপন ও বাঙালি জীবনযাপন নিয়ে।
ঈদের আগেই দেখা হয়েছিল বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জার সঙ্গে। সঞ্জুর পরিচালক রাজকুমার হিরানির অফিসে বসেছিল প্রথম আলোর সঙ্গে দিয়ার এক নির্ভেজাল আড্ডা। দুই দিন পরই ছিল ঈদ। তাই আড্ডার শুরুতেই দিয়া তাঁর ঈদস্মৃতির কথা জানান। বলেন, ‘ঈদ মানেই নতুন কাপড়ের গন্ধ। ঈদ মানেই ঈদি। ঈদের দিন দারুণ একটা জামা পরতাম। আর প্রচুর সিমুইয়া (সেমাই), শিউ কোর্মা আর বিরিয়ানি খেতাম। মায়ের থেকে ভালো রকম ঈদি পেতাম। দিনের শেষে সবাই মিলে বসে দেখতাম কে কত ঈদি পেয়েছি।’
ঈদের পাশাপাশি উঠে এল দুর্গাপূজার কথাও। বাঙালি কায়দায় রান্না করা মাছের ঝোল, লুচি আর মাংসের কথা বলতেও দিয়া ভুললেন না। ঝরঝরে বাংলায় দিয়া বললেন তাঁর বাংলার প্রতি ভালোবাসার কথা। কারণ, তাঁর মা দীপা যে বাঙালি। বেশ ভালো বাংলায় দিয়া বললেন, ‘বাংলা বলতে পারব না? তা কি হয়! আমার মাতৃভাষা যে বাংলা। পাঁচ অধ্যায় বলে একটা বাংলা সিনেমা করেছি আমি। বাঙালি অনেক কিছু শিখেছি মায়ের কাছ থেকে। ছোটবেলায় দুর্গাপূজায় আমাদের বাড়িতে দশমী, দেওয়ালি—সব উৎসব ঘটা করে পালন করা হতো। বাঙালি শাড়ি, শাঁখা-পলা সবকিছুই আমার বেড়ে ওঠার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল।’ মায়ের হাতের বাঙালি রান্না খেতে খুবই ভালোবাসেন দিয়া। মায়ের হাতের মাছের ঝোল, সর্ষে ইলিশ, চিংড়ির মালাইকারি, লুচি-মাংস তাঁর প্রিয়। তিনি নিজেও মায়ের কাছ থেকে এসব রান্না শিখেছেন।
সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে পাঁচটি ছবিতে কাজ করেছেন দিয়া মির্জা। তাই সেই সহকর্মীর জীবনী নিয়ে তৈরি ছবিতে অভিনয় করে উচ্ছ্বসিত দিয়া। তিনি বললেন, সঞ্জয় স্যারকে চেনা সহজ নয়। তবে তাঁকে বাইরে থেকে দেখলে কঠিন বলে মনে হবে। আসলে উনি খুবই নরম মনের মানুষ।