নতুন বউয়ের প্রেমে মিমো

মিমো ও মাদালসা শর্মা
মিমো ও মাদালসা শর্মা

পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ১০ জুলাই বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী আর যোগিতা বালির বড় ছেলে মিমো বিয়ে করেন দীর্ঘদিনের বান্ধবী মাদালসা শর্মাকে। এরপর গতকাল শনিবার টুইটারে একটি রোমান্টিক পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘তোমার ভালোবাসা আমাকে শক্ত করেছে। তোমার বিশ্বাস আজ আমাকে মুক্ত করেছে। এতটা ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ।’

মিমোর এই পোস্ট দেখে বিভিন্ন জন তাতে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। কিন্তু সেগুলো পড়ার মতো সময় নেই মিমো কিংবা মাদালসার। কারণ, বিয়ের পর তাঁরা এখন জীবনের সবচেয়ে মধুর সময় উপভোগ করছেন। দুজনই আছেন খোশমেজাজে। মিমো সম্প্রতি তোলা একটি ছবি দিয়েছেন সেই পোস্টের সঙ্গে। তাতে খুব হাসিখুশি দেখা গেছে নববধূকে।

মিমো আর মাদালসা শর্মার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ৭ জুলাই রাতে, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের নীলগিরি জেলার উটির বিলাসবহুল এক হোটেলে। আর সেই হোটেলের মালিক মিঠুন চক্রবর্তী নিজেই। সেখানেই আয়োজন করা হয় মিমোর বিয়ের অনুষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ে হোটেলে চলে আসে বরপক্ষ আর কনেপক্ষ। কিন্তু বিয়েটা আর হয়নি। পুলিশ এসে হানা দেয় হোটেলে। এরপর কনেকে নিয়ে হোটেল থেকে চলে যায় কনেপক্ষ। তখন সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, মিমোর বিয়ে ভেঙে গেছে।

পরে জানা যায়, সেদিন বিয়ে মোটেও ভেঙে যায়নি। রেজিস্ট্রি হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানও পালিত হয়েছে। আর ১০ জুলাই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠজনেরা। এই বিয়ের ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানতে পারেনি।

বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য দিল্লি হাইকোর্ট থেকে মিমো আর তাঁর মা যোগিতা বালি জামিন নেন। এর আগে বোম্বে হাইকোর্টে মিমোর জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু বোম্বে হাইকোর্ট এই জামিনের আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে করার আদেশ দেন।

৭ জুলাই যে মিমো চক্রবর্তীর বিয়ে হবে, তা আগেই চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু এর আগেই ঘটে যায় দুঃখজনক ঘটনা। মিমোর সাবেক প্রেমিকা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। এই নারীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিমো তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে মিমোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মিমো চক্রবর্তীর পুরো নাম মহাক্ষয় চক্রবর্তী।

মিমোর বিরুদ্ধে দিল্লির রোহিণী আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ করেন তাঁর সাবেক প্রেমিকা। রোহিণী আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক একতা গৌবার নির্দেশে অভিযোগ আমলে নেয় দিল্লি পুলিশ। এরপর পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানায়, এটা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ মামলা। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাজ্যসভার একজন সাবেক সাংসদের নাম। বিচারক মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে পুলিশ বিভিন্ন ধারায় মিমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। চলছে তদন্ত।

অভিযোগ করা হয় মিমোর মা যোগিতা বালির বিরুদ্ধেও। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিমোর সাবেক প্রেমিকাকে প্রতারণা ও মানসিক নির্যাতন করে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেছেন।

বলিউডের প্রযোজক সুভাষ শর্মার মেয়ে মাদালসা শর্মা নিজেও বলিউডের তারকা। ২০০৯ সালে তিনি প্রথম তেলেগু ছবিতে অভিনয় করেন। মিমো ২০০৮ সালে ‘জিমি’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এখন তাঁর বয়স ৩৩ বছর। মিমো ইতিমধ্যে বলিউডের আটটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে আটটি হিন্দি আর একটি বাংলা ছবি। হিন্দি ছবিগুলো হলো ‘জিমি’, ‘দ্য মার্ডার’, ‘হান্টেড’, ‘লুট’, ‘রকি’, ‘এনিমি’, ‘টুক্কা ফিট’ ও ‘ইসকিদরিয়াঁ’। আর বাংলা ছবিটি হলো ‘রকি’।