সদস্য না হয়ে শুটিং, এফডিসিতে মারধর

আহত জিয়াউল হক মনির। ছবি: প্রথম আলো
আহত জিয়াউল হক মনির। ছবি: প্রথম আলো

সহকারী পরিচালক সমিতির সদস্য না হয়ে শুটিং করার অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ছবির শুটিং চলার সময় মারধর করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক মনির। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে সহকারী পরিচালক সমিতি (সিডাব) এবং উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা সমিতির সদস্যদের মধ্যে কড়ইতলায় ‘বয়ফ্রেন্ড’ ছবির শুটিং সেটে অপ্রীতিকর এ ঘটনা ঘটে।

জিয়াউল হক ‘বয়ফ্রেন্ড’ ছবির সহকারী পরিচালক। তিনি সহকারী পরিচালক সমিতির সদস্য না হয়ে শুটিং করছেন—এমন অভিযোগে সহকারী পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনির ও সহসাধারণ সম্পাদক সরদার মামুনের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল কড়ইতলায় শুটিংয়ের সময় জিয়াউল হককে বেধড়ক মারধর করেন। এ খবর উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা সমিতির কার্যালয়ে পৌঁছালে তাঁরা সংগঠিত হয়ে পাল্টা ধাওয়া দেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় এফডিসির ক্যানটিনের সামনে পালটা হামলাকারীদের কবলে পড়ে গাজী নামের সিডাবের এক সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও প্রচার সম্পাদক বজলুর রশিদ চৌধুরী ঘটনাস্থালে পৌঁছে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন।

গুরুতর আহত জিয়াউল হককে প্রথমে মগবাজার ইনসাফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা সমিতির সহসভাপতি আবদুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় তেঁজগাও শিল্প অঞ্চল থানায় আহত জিয়াউল হকের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টা দুই পক্ষের মধ্যস্থতা করার জন্য ডাকা হয়েছে।

জিয়াউল হক সহকারী পরিচালক সমিতির (সিডাব) সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করছিলেন। একাধিকবার চিঠিও দিয়েছিলেন। কিন্তু সিডাব থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় তিনি শুটিং করছিলেন।

এ ব্যাপারে আহত জিয়াউল হক বলেন, ‘আমি সদস্যপদ পাওয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করেছি। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে তারা আমাকে সদস্যপদ দেয়নি। অন্যায়ভাবে আমাকে মারা হয়েছে।’

সহকারী পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনির ও সহসাধারণ সম্পাদক সরদার মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা ফোন ধরেননি।