যখন মঞ্চে গান করি, তখন নিজেকে মনে হয় রাজকন্যা: ফাহমিদা

ফাহমিদা নবী
ফাহমিদা নবী

আজ রাত ১১টায় বৈঠকি গানের অনুষ্ঠান ‘তোমায় গান শোনাব’ দেখানো হবে মাছরাঙা টিভিতে। নতুন রূপে, নতুন মঞ্চসজ্জা নিয়ে আসছে অনুষ্ঠানটি। আজকের পর্বের অতিথি শিল্পী ফাহমিদা নবী। তিনি নিজেও বাংলাভিশনে নিয়মিত ‘সুরের আয়নায়’ নামের একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। টিভির এই আয়োজনগুলো এবং গান নিয়ে তাঁর ব্যস্ততার কথা বললেন প্রথম আলোকে।

‘তোমায় গান শোনাব’তে গাইতে যাচ্ছেন...
বৈঠকি ঢঙে ইদানীং অনুষ্ঠান হয় না। তাই এ কারণে ‘তোমায় গান শোনাব’-এর পরিকল্পনা আমার ভালো লেগেছে। জেনেছি, অনুষ্ঠানের ব্যাকগ্রাউন্ড নতুন করে সাজানো হয়েছে। দর্শকদের আরও আকৃষ্ট করতে পরিবর্তন আনা হয়েছে উপস্থাপনায়। শুরুটা তারা আমাকে দিয়ে করতে চায়। এমনিতে ‘লাইভ’ (সরাসরি অনুষ্ঠান) কম করা হয়। কিন্তু অনুষ্ঠানের ধরন দেখে আর নতুন পরিসরে এটি হচ্ছে বলে বেশ আগ্রহ নিয়েই এবার গাইতে যাচ্ছি।

আপনি তো নিজেও বাংলাভিশনে ‘সুরের আয়নায়’ নামের একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। সেখানেও উপস্থাপনা আর গান পরিবেশনার ঢঙে ভিন্নতা আছে। সেখান থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
আমি তো ওই অনুষ্ঠানটা শেষ করতে চাই। কিন্তু চ্যানেল কর্তৃপক্ষ শেষ করতে দিচ্ছে না। তারা নাকি অনেক সাড়া পাচ্ছে। তা ছাড়া ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, শিল্পীরাও এই অনুষ্ঠানে এসে খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। একবার গান করে গেলে আবার আসতে আগ্রহ দেখান। এখানে আমরা মৌলিক গানকে প্রাধান্য দিই। আসর জমিয়ে তোলার জন্য অহেতুক ‘কাভার’ গান করা হয় না। আবার আলাপচারিতার সময় অযথা ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করি না। সুন্দর বাংলায় চলে আলাপন। এ কারণে অনুষ্ঠানটির দেশে ও দেশের বাইরে প্রশংসা শুনেছি।

টিভি, মঞ্চ আর প্লেব্যাক—কোন মাধ্যমে গাইতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
সব মাধ্যমই প্রিয়। যখন আমি মঞ্চে গান করি, তখন নিজেকে মনে হয় রাজকন্যা। নিজের মতো করে গান গাই মঞ্চের সামনের শ্রোতাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য। প্লেব্যাকের ক্ষেত্রে অনুভূতিটা অন্য রকম। সে সময় আবার পুরো ছবির গল্প শুনি। নায়িকা বা যাঁর ঠোঁটে আমার গান উঠবে, তাঁকে বোঝার চেষ্টা করি, এরপর গাই। মিউজিক ভিডিওর ব্যাপারটায় আমার আপত্তি আছে। তবে সেখানেও ভিডিওর নির্দেশক যদি নিজের প্রথম কাজের মতো করে তাগিদ দেন, তাহলে সেখানেও স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করা যায়। কিন্তু আজকাল প্রথম ভিডিওটি সফল হওয়ার পর কেউ আর পরের কাজটায় আগের মতো মনোযোগ দেয় না। কোন শিল্পীর কী শট নিচ্ছি, এটা কেমন গানের সঙ্গে যাবে—এসব নিয়ে ভাবে না।

এখন কোন ধরনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
দুর্গাপূজার জন্য দুটি গান করেছি—‘ভালোবাসি যে তোমারে’ ও ‘হায় প্রেম’। এ উপলক্ষে সুবীর কাকার (সুবীর নন্দী) সঙ্গে গেয়েছি। তা ছাড়া ১২ অক্টোবর দ্য ডেইলি স্টার–এর ‘জীবনের জয়গান’ অনুষ্ঠানের জন্য একটি গান কম্পোজ করছি। গাইবে রেশমি আর ঐশী।

কয়েক দিন ধরে যে গানটি গুনগুন করছেন।
আমারই একটা নতুন গান।

আপনার কাছে দ্বৈত গানের প্রস্তাব এলে সহশিল্পী হিসেবে কাকে বেছে নেবেন?
বাপ্পা (বাপ্পা মজুমদার) ছাড়া শ্রোতারা আর কারও সঙ্গে আমাকে নিতে পারে না।

আত্মজীবনী লিখলে এর নাম কী দেবেন?
কঠিন প্রশ্ন, ভেবে দেখতে হবে।