অ্যালেনের শুরু থিয়েটার থেকে

>

তরুণ প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে যিনি তাঁর অভিনয় দিয়ে সবার মনকে মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন করে ফেলেছেন, তিনি অ্যালেন শুভ্র। সাবলীল অভিনয়ের জন্য তাঁর প্রচুর দর্শক রয়েছে, এমনকি সমালোচকদেরও মন জয় করে ফেলেছেন এই তরুণ। আজকের ‘ক্যামেরার সামনে প্রথম’ বিভাগে বলেছেন তাঁর ক্যামেরার সামনে আসার গল্প।

অ্যালেন শুভ্র
অ্যালেন শুভ্র

কলেজে থাকা অবস্থায় একবার অ্যালেন শুভ্র গিয়েছিলেন মঞ্চনাটক দেখতে। সেই নাটক দেখে মুগ্ধ হয়ে যান অ্যালেন। ওই সময় থেকেই থিয়েটারের পোকা ঢোকে মাথায়। যোগও দেন। এদিকে ২০০৮–এর শেষের দিকে খবর পান পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী তাঁর ইচ্ছে হল নাটকের জন্য একটা নতুন ছেলে খুঁজছেন। অনেকেই অডিশন দিতে গিয়েছেন। খবর পেয়ে সেই অনেকের সঙ্গে যুক্ত হলেন অ্যালেন শুভ্র। প্রথম দিন অডিশন শেষ হলো। কে জানে তারপর দুইবার অডিশনের জন্য তাঁকে ডাকা হলো। নাটকটির জন্য নির্বাচিত হলেন অ্যালেন। প্রথম দিন শুটিং শুরু হলো। অ্যালেনের অবস্থা ভালো না। ভয়ে কাঁপাকাঁপি। পরিচালক অভয় দিয়ে বললেন, ‘ভয় পাস না, মনে কর সামনে কোনো ক্যামেরা নেই।’ তারপরও কি সহজে ভয় কাটে! এভাবে ভয়ে ভয়েই শুটিং শেষ হলো। এরপরও অনেক দিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে ভয় লাগত অ্যালেনের। ধীরে ধীরে ভয় কাটা শুরু করল। অ্যালেন প্রথম ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন রঞ্জু হয়ে। এসএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোচিং করতে আসা একটা উচ্ছল, উদ্দাম আর এলোমেলো ছেলের চরিত্র করতে হয়েছিল তাঁকে। তখন অ্যালেনের নিজের বয়সটাও কম। তাই এই এলোমেলো রঞ্জু চরিত্রটা তিনি বেশ ভালোভাবেই করতে পেরেছিলেন। সহশিল্পীদের সহযোগিতায় প্রথম নাটকেই বেশ অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন অ্যালেন। সেই ভয়কে জয় করেই ধীরে ধীরে পাকা অভিনেতার পথে হাঁটা শুরু করেছেন অ্যালেন শুভ্র।

লেখা: তাসনিয়া লস্কর