'পুরো এফডিসিতেই আজ শুটিং'

৬ নম্বর ফ্লোরে সাহসী যোদ্ধা ছবির শুটিংয়ে পপি
৬ নম্বর ফ্লোরে সাহসী যোদ্ধা ছবির শুটিংয়ে পপি

গত সোমবার। মেঘলা আকাশ। শহরজুড়ে শীত শীত ভাব। তখন বেলা দুইটা। এফডিসির মূল ফটকের বাইরে তেমন কোনো জটলা নেই। কিন্তু ভেতরে ঢুকতেই শুটিংয়ের ব্যস্ততা টের পাওয়া গেল। রাস্তা, স্টুডিও—সবখানেই মানুষ। তিন নম্বর ফ্লোরের মুখে চেয়ার নিয়ে বসে ছিলেন নৃত্যশিল্পী মাসুম বাবুল। কাছে যেতেই মুচকি হাসলেন। বললেন, পুরো এফডিসিতেই আজ শুটিং। তিনটি ছবির শুটিং হচ্ছে। তিনি নিজেও অন্ধকার জগৎ নামে একটি ছবির কিছু শুটিং করার জন্য অপেক্ষা করছেন। বলেন, ‘ছবির কাজ শেষ। কিছু ছোট শট বাকি আছে। আজ শেষ করব।’ পাশে বসা একজন বলেন, অনেক দিন পর এফডিসিতে একসঙ্গে এতগুলো ছবির শুটিং হচ্ছে।

আগে থেকেই জানা ছিল মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্স, সম্পাদনা ভবন ও ঝরনাস্পট এলাকায় চলছে শাকিব খানের ‘শাহেনশাহ’ ছবির শুটিং। মূল রাস্তা ধরে ওই পথে ‘শাহেনশাহ’র শুটিংয়ে পৌঁছে যাই। কিন্তু ক্যামেরা বন্ধ। পরিচালক জানালেন দুপুরের খাবার বিরতি চলছে।

সেখান থেকে বেরিয়ে ক্যানটিন চত্বরে দাঁড়াতেই কড়ইতলার দিকে চোখ যায়। ইমন ও শিরিন শিলা গল্প করছেন। ৬ নম্বর ফ্লোরের মেকআপ রুমের সামনে দাঁড়িয়ে ইমন জানালেন সাহসী যোদ্ধা ছবির শুটিং চলছে। প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় ল্যাবের মধ্যে শুটিং হচ্ছে। বলেন, ‘এখন পপি শুটিং করছেন। কিছুক্ষণ পর আমার ও শিলার শুট।’

ল্যাবের মধ্যে ৩৫ মিলিমিটার যুগের কোটি কোটি টাকা দামের অনেকগুলো প্রিন্ট মেশিন অযত্নে পড়ে আছে। এখন সিনেমার শুটিং হয় এখানে। রুমটি সিনেমায় সন্ত্রাসী দলের আস্তানা হিসেবে ব্যবহার হয়। সাহসী যোদ্ধা ছবির তেমনি একটি দৃশ্যের শুটিং হচ্ছিল এ দিন।

মনিটরে ফাইট ডিরেক্টর আরমান। পাশেই বসা ছবির পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘ছবির ২০ ভাগ কাজ এখনো বাকি। তবে আগেই শেষ দৃশ্যের শুটিং করে রাখছি। গোয়েন্দা অফিসার পপি ও চোরাচালানি দলের নেতা আমিন খানের মধ্যে মারামারি গোলাগুলি হবে এখানে। শেষে পুলিশের হাতে ধরা খাবেন আমিন খান।’

এরই মধ্যে গোয়েন্দা পোশাকে পপি এসে হাজির। দৃশ্যধারণের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল। অনেক ছবিতে অ্যাকশন দৃশ্যে দেখা গেলেও এই প্রথম গোয়েন্দা চরিত্র করছেন পপি। পপি বলেন, ‘উপভোগ করছি সোহানা চরিত্রটি। কাজও ভালো হচ্ছে। নতুন হিসেবে আমার এ চরিত্রটি দর্শকের কাছে মন্দ লাগবে না।’

দৃশ্যধারণের আয়োজন শেষ হয়। পিস্তল হাতে পপি ক্যামেরার সামনে নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেন। মনিটরে বসে ফাইট ডিরেক্টর আরমান ‘ওয়ান, টু, থ্রি, অ্যাকশন’ বলতেই ক্যামেরা চলতে থাকে।