সংস্কৃতিসেবীর কাছে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: ফারুক

‘বাঙালি সাংস্কতিক বন্ধন’-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের সভাপতি আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। ছবি– সংগৃহীত
‘বাঙালি সাংস্কতিক বন্ধন’-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের সভাপতি আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। ছবি– সংগৃহীত

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ–লালন করেন বলেই, স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালি সংস্কৃতিকে যাঁরা জীবনমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছেন সেসব সংস্কৃতিসেবীর কাছে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।’ কথাগুলো মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ২৫টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাঙালি সাংস্কতিক বন্ধন’-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ফারুক। তিনি সংগঠনটির সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফারুক বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি চক্রান্তের জাল বিস্তার করে দেশ স্বাধীনের মাত্র ৪ বছরের মধ্যেই সপরিবারে বঙ্গবন্ধু এবং চার নেতাকে হত্যা করে। সে সময় মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা যেত না, বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যেত না, বাঙালি সংস্কৃতি নির্বাসনে—এরপরও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এবং সংস্কৃতিকর্মীরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্বত রাখার চেষ্টা করেছিলেন। সে সময় গান, সিনেমা, নাটক, গল্প–কবিতায় মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর কথা বলেছেন, বাঙালির সংস্কৃতির প্রদীপকে টিমটিম করে জ্বালিয়ে রেখেছে।’

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলার মুখ, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম, আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ লোক সাংস্কৃতিক পরিষদ, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, স্বাধীনতা চারুশিল্পী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, শিল্পী কলাকুশলী সমিতি, ভাওয়াইয়া অঙ্গন, বাংলাদেশ ললিতকলা পরিষদ, বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসার, প্রতিভা মুল্যায়ন সংসদ, স্বাধীনতা সাংস্কৃতিক একাডেমি, বঙ্গমাতা পরিষদসহ ২৫টি সংগঠন ‘বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধন’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী, আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত ২৫টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের জোট বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধন-এর আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব, বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ও চর্চাকে বাড়াতে এবং বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিতে এই সংগঠন দেশব্যাপী অনেক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে বলে জানান ফারুক।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ফারুক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দেওয়ার যে চেষ্টা করা হয়েছে, এটি আমরা আর হতে দেব না। এখন আমরা আরও সংঘবদ্ধ। এই সংগঠন নির্বাচনী কর্মকাণ্ডেও অংশগ্রহণ করবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত নাট্যব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক বলেন, ‘আমরা শিল্পবান্ধব সরকার চাই, বর্তমান সরকার শিল্পবান্ধব সরকার। এই সরকারকে আমরা আবারও চাই।’

বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আজম বাশার ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কাজী রোজী, কবি মুহাম্মদ সামাদ, সংগীতশিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, মনোরঞ্জন ঘোষাল, শেখ সাদী খান, বাউল শফি মণ্ডল, চিত্রনায়ক জায়েদ খান প্রমুখ।