এবার পুরস্কার পাচ্ছেন রিজিয়া রহমান ও ফাতিমা রুমি

জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভাকক্ষে অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম এবং এক্সিম ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং ডিভিশন সঞ্জীব চ্যাটার্জি হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কারের বিস্তারিত ঘোষণা করেন। ছবি: প্রথম আলো
জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভাকক্ষে অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম এবং এক্সিম ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং ডিভিশন সঞ্জীব চ্যাটার্জি হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কারের বিস্তারিত ঘোষণা করেন। ছবি: প্রথম আলো

এবার অন্যদিন প্রবর্তিত ‘হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’ পাচ্ছেন রিজিয়া রহমান ও ফাতিমা রুমি। আজ শনিবার জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাকক্ষে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ১২ নভেম্বর বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। তাঁরা পুরস্কার হিসেবে পাবেন যথাক্রমে পাঁচ লাখ এবং এক লাখ টাকা। এ ছাড়া দেওয়া হবে ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সার্টিফিকেট। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে মূলত কথাসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য একজন প্রবীণ ও একজন তরুণ কথাসাহিত্যিককে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

আজ শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভাকক্ষে উপস্থিত ছিলেন অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম এবং এক্সিম ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং ডিভিশন সঞ্জীব চ্যাটার্জি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, পঞ্চাশের দশকে কথাসাহিত্য হয়ে ওঠে মৃত্তিকাস্পর্শী ও জাতিসত্তার শিকড়সন্ধানী। ষাটের দশকে এ দেশের কথাসাহিত্যে সূচিত হয় নতুন স্রোত। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক কল্লোল আর সংঘাতের পটে রচিত হয় গল্প-উপন্যাস। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে কথাসাহিত্যে লক্ষ করা যায় নতুন নতুন নিরীক্ষা আর বাঁক। এই পটভূমিতে ২০১৫ সালে প্রবর্তিত হয় ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এই পুরস্কার এ দেশের প্রবীণ ও নবীন দুই শ্রেণির কথাসাহিত্যিকদেরই অনুপ্রাণিত করবে।

এই বছর এ পুরস্কার পেয়েছেন দুজন লেখক—সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য প্রবীণ কথাশিল্পী রিজিয়া রহমান এবং নবীন সাহিত্য শ্রেণিতে (অনূর্ধ্ব চল্লিশ বছর বয়স্ক লেখক) ফাতিমা রুমি। এর আগে ২০১৫ সালে এই দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছিলেন যথাক্রমে শওকত আলী এবং সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম। ২০১৬ সালে পুরস্কৃত হয়েছিলেন হাসান আজিজুল হক এবং স্বকৃত নোমান। অন্যদিকে ২০১৭ সালে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছিল জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত এবং মোজাফ্ফর হোসেনের হাতে।