গুজব ছড়াবেন না, দিলীপ কুমার ভালো আছেন

বিবাহবার্ষিকীতে দিলীপ কুমারের স্ত্রী সায়রা বানুর পোস্ট করা ছবি
বিবাহবার্ষিকীতে দিলীপ কুমারের স্ত্রী সায়রা বানুর পোস্ট করা ছবি

দিলীপ কুমার হাসপাতালে! ৯৫ বছর বয়সী একজন মানুষের নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাঁকে নেওয়া হতে পারে হাসপাতালে। তাই তাঁকে নিয়ে অতিরঞ্জিত সব খবর প্রকাশ ও গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন খ্যাতিমান অভিনেতা দিলীপ কুমারের পারিবারিক বন্ধু ফয়সাল ফারুকি।

দিলীপ কুমারের টুইটার অ্যাকাউন্টটি চালান ফয়সাল ফারুকি। সম্প্রতি তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘দিলীপের ফুসফুসে সংক্রমণের খবরটি গুজব। তিনি ভালো আছেন। দয়া করে গুজব ছড়াবেন না। পরিবারের লোকজনদের নিয়ে তিনি ভালো আছেন।’ আরেকটি টুইটে একটি ওয়েবসাইটের ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফারুকি লিখেছেন, ‘এসব ক্ষতিকর গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।’

গত মাসে হঠাৎ আবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন দিলীপ কুমার। সে সময় তাঁকে ভর্তি করা হয় মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে। সেই মাসে সেটি ছিল দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতাল যাত্রা। অবশ্য কয়েক দিন পরই তাঁকে বাড়িতে নেওয়া হয়। স্ত্রী সায়রা বানু সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘দিলীপ কুমারকে তাঁর চিকিৎসক ও সেবাকর্মীরা দেখভাল করছেন। সেপ্টেম্বর মাসে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে পরীক্ষা করতে নেওয়া হয়। তাতে তাঁর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে।’

সম্প্রতি এ জুটি তাঁদের ৫২তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেছে। টুইটারে নিজেদের পুরোনো দিনের দারুণ একটি ছবি পোস্ট করে সায়রা বানু লিখেছিলেন, ‘আমার কোহিনূর, আমার সাহেব, আমার স্বপ্নের পুরুষ, আমার ইউসুফজান আর অনেক ধন্যবাদ আমাদের কোটি কোটি শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের, বিবাহবার্ষিকীতে যাঁরা চমৎকার সব বার্তা পাঠিয়েছেন, ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এটা আমাদের প্রিয় একটি ছবি।’ গত ১১ অক্টোবর ছিল তাঁদের বিবাহবার্ষিকী।

গত কয়েক বছরে দিলীপ কুমারকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে নেওয়া হয়। বয়স তাঁর ৯৫, তাই হাসপাতালে নেওয়া হলেই সবাই ধরে নেন, এই বুঝি খারাপ কোনো খবর শোনা যায়। গত নভেম্বরে তাঁর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। এর কয়েক মাস পর কিডনির সমস্যা নিয়ে তিনি আবার হাসপাতালে ভর্তি হন।

দিলীপ কুমার বলিউডের খ্যাতিমান নায়ক। ‘আন্দাজ’, ‘আন’, ‘জুগনু’, ‘মধুমতি’, ‘মুঘল-ই-আজম’, ‘নয়া ডর’, ‘দেবদাস’ ও ‘রাম অর শ্যাম’ ছবিগুলো তাঁকে এনে দিয়েছিল পরিচিতি, সম্মান ও খ্যাতি। ১৯৯১ সালে তিনি পদ্মভূষণ ও ১৯৯৪ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হন। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি