চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড়

ওমর সানী, রিয়াজ, শাকিব খান, জায়েদ খান
ওমর সানী, রিয়াজ, শাকিব খান, জায়েদ খান

দেশজুড়ে এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ। এর মধ্যেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। দুই বছর মেয়াদি এই নির্বাচনের এখনো পাঁচ-ছয় মাস বাকি। তার আগেই ২১ সদস্যের কমিটির প্রধান দুটি পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়া নিয়ে ক্রমেই সরগরম হয়ে উঠছে চলচ্চিত্রপাড়া। আগামী নির্বাচনে এই দুটি পদে একাধিক প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলছে। এবার নতুন মুখও দেখা যেতে পারে।

এখনো প্যানেলের বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও সভাপতি পদে শাকিব খান ও সাধারণ সম্পাদক পদে ডি এ তায়েব মিলে একটি প্যানেল করবেন বলে খবর শোনা যাচ্ছে। এর আগে পরপর দুবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন শাকিব খান। চলতি মেয়াদে তিনি নির্বাচন করেননি। তবে এবার সভাপতি পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। শাকিব খান বলেন, ‘ইচ্ছা আছে সাধারণ সম্পাদক পদে ডি এ তায়েবকে নিয়ে একটি প্যানেল দিতে। এখনো অনেক সময় আছে। এত আগেই সবকিছু বলছি না।’

ডি এ তায়েব বলেন, ‘শাকিব খানের মতো এত বড় একজন তারকা আমাকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চাওয়ার কথা বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন। এটি আমার জন্য বিরাট সম্মানের। আমিও তাঁর সঙ্গে থেকে নির্বাচন করতে চাই।’

এদিকে চলতি কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এবারও সাধারণ সম্পাদক পদেই নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। কমিটির ১ নম্বর সহসভাপতি রিয়াজ এবার সভাপতি পদে লড়তে পারেন। এই দুজন মিলে নতুন প্যানেল গড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। জায়েদ খান বলেন, ‘আমি সাধারণ সম্পাদক পদেই আবার নির্বাচন করব। আর রিয়াজ ভাই নির্বাচন করবেন কি না, তা জানি না। যদি করেন, তখন প্যানেলের বিষয়টি দেখা যাবে।’ যদিও সভাপতি পদে নির্বাচনের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচনের অনেক সময় বাকি। সামনে জাতীয় নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের পরই শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ভাবা যাবে।’

গতবার সভাপতি পদে ওমর সানী ও সাধারণ সম্পাদক পদে অমিত হাসান প্যানেল থেকে দুজনই পরাজিত হন। এবারও তাঁরা দুজন নির্বাচন করবেন। ওমর সানী সভাপতি পদে এবং অমিত হাসান সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক—যেকোনো একটি পদে প্রার্থী হওয়ার কথা বলেছেন। ওমর সানী বলেন, ‘নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে। তবে যদি নির্বাচনের আগে আগে টাকার খেলা হয় বা এফডিসির মধ্যে শান্তি বিরাজ না করে, তাহলে নির্বাচনে না–ও দাঁড়াতে পারি।’ তবে এবারও একসঙ্গে দুজন প্যানেল গড়বেন কি না, তা জানাননি এই দুজন। অমিত হাসান বলেন, ‘সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হব। প্যানেলের বিষয়টি আরও পরে বলতে পারব।’