লেখকের পাশে আমির খান

আমির খান
আমির খান

‘থাগস অব হিন্দোস্থান’ ছবি ফ্লপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় তারকা আমির খান। এবার তিনি বললেন, যাঁরা ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখছেন, তাঁদের পারিশ্রমিক বাড়ানো দরকার। হঠাৎ আমির খান ছবির কাহিনিকার ও চিত্রনাট্যকারদের পাশে দাঁড়ালেন কেন? আমির খান বলেন, ‘ছবির স্ক্রিপ্ট কেমন, তার ওপর ভিত্তি করে আমি ছবি বাছাই করি। তাই আমার মনে হয়, একটা ছবির নেপথ্যে চিত্রনাট্যকার খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিত্রনাট্যকারদের আরও বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া উচিত, যাতে তাঁরা ভালো ভালো চিত্রনাট্য লিখতে পারেন। আর ভালো চিত্রনাট্য ছাড়া কখনোই ভালো ছবি হতে পারে না।’

সিনেস্তান ইন্ডিয়া’স স্টোরিটেলার্স স্ক্রিপ্ট কনটেস্ট আয়োজনে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় আমির খানকে। এখানে বিচারক হিসেবে ছিলেন লেখক ও চিত্র পরিচালক রাজকুমার হিরানী, চিত্রনাট্যকার আনজুম রাজাবলী ও জুহি চতুর্বেদি। গত সোমবার মুম্বাইয়ে এই আয়োজন করা হয়। সিনেস্তান প্রা. লি. আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় সারা ভারত থেকে সাড়ে তিন হাজার প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। এখানে সেরা চিত্রনাট্যকার পাচ্ছেন ৫০ লাখ রুপি। এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত ভালো কিছু চিত্রনাট্য সিনেস্তান স্ক্রিপ্ট ব্যাংকে সংরক্ষণ করা হবে।

এখানে আমির খান আরও বলেন, ‘ছবির মূল কান্ডারি একজন পরিচালক, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, তিনিই গল্পটা বলেন। এটা আসলে একটা টিম ওয়ার্ক। এখানে সবাই কাজ করেন। তবে গল্পটা লেখেন একজন চিত্রনাট্যকার। তাই আমার মনে হয়, চিত্রনাট্যকারদের সম্মান দেওয়া দরকার, তাঁদের পারিশ্রমিক বাড়ানো খুব জরুরি।’

বহুল আলোচিত ‘থাগস অব হিন্দোস্থান’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও ফাতিমা সানা শেখের মতো অভিনয়শিল্পীরা। ‘থাগস অব হিন্দোস্থান’ নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ৩০০ কোটি রুপি। অথচ এখনো পর্যন্ত ছবি থেকে আয় হয়েছে মাত্র দেড় শ কোটি রুপি।

এদিকে আমিরের ওপর আস্থা রাখা ভক্ত-দর্শকদের কাছে তাই ক্ষমা চেয়েছেন তিনি নিজেই। এক সাক্ষাৎকারে আমির বলেছেন, ‘ছবিটা খারাপ হওয়ার সব দায় আমার। আমার মনে হয়, আমরা কোনো ভুল করেছিলাম, কিন্তু সেই দায়টা আমিই নিচ্ছি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু ভুল নিশ্চয়ই ছিল। যে কারণে অল্প কিছু মানুষের কাছে ছবিটি ভালো লাগলেও বেশির ভাগ দর্শক ছবিটি পছন্দ করেননি। “থাগস অব হিন্দোস্থান” যাঁদের ভালো লেগেছে, তাঁদের ধন্যবাদ। যাঁদের ভালো লাগেনি, তাঁদের প্রতিক্রিয়া থেকে আমাদের উপলব্ধি হয়েছে, আমরা তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। আমি দুঃখিত, আমি তাঁদের বিনোদন দিতে পারিনি।’