আমজাদ হোসেনকে জামালপুরে দাফন

জামালপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আমজাদ হোসেনকে সবাই শেষ শ্রদ্ধা জানান
জামালপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আমজাদ হোসেনকে সবাই শেষ শ্রদ্ধা জানান

হাজারো মানুষ কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী, লেখক এবং জামালপুরের গুণী ব্যক্তিত্ব আমজাদ হোসেনের কফিনে ফুল দিয়ে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানিয়ে চিরবিদায় জানিয়েছেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তাঁর মরদেহ জামালপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো মানুষের ঢল নামে।

জামালপুর জেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামালপুর পৌরসভা, জামালপুর প্রেসক্লাব, জামালপুর উচ্চবিদ্যায়, ভাষাসৈনিক মতি মিয়া ফাউন্ডেশন, উদীচী, ভাষা ও মুক্তিসংগ্রাম গবেষণা কেন্দ্র, এস এম থিয়েটার, অমৃত থিয়েটার, শিল্পকলা একাডেমি, প্রথম আলো জামালপুর বন্ধুসভা, জামালপুর মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব, প্রশান্তি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন আমজাদ হোসেনের কফিনে ফুল দিয়ে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান। এ সময় আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে অভিনেতা ও পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, চলচ্চিত্র পরিচালক সোহেল আরমান এবং আমজাদ হোসেনের সহপাঠীরা কফিনের পাশে ছিলেন।

জামালপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আমজাদ হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়
জামালপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আমজাদ হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়

আজ সকাল ১০টায় জামালপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে জামালপুর পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে আমজাদ হোসেনকে সমাহিত করা হয়। জামালপুরের সর্বস্তরের মানুষ তাঁর জানাজায় অংশ নেন।

এর আগে গত শনিবার রাতে ঢাকা থেকে লাশবাহী গাড়িতে করে জামালপুর পৌর শহরের ইকবালপুরে নিজ বাসভবনে আমজাদ হোসেনের মরদেহ আনা হয়। এ খবরে এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা–কর্মী ও সামাজিক সংগঠনের লোকজন ভিড় জমান। রাতে সেখানে তাঁকে এক নজর দেখার জন্য মানুষের ঢল নামে।

১৪ ডিসেম্বর দুপুরে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমজাদ হোসেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।