মুম্বাইয়ে কাদের খানকে দাফন করা হচ্ছে না

কাদের খান
কাদের খান

‘বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। কানাডার সময় অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বিকেলেই কোমাতে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। ১৭ সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালেই ছিলেন।’ বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন সরফরাজ খান, তিনি কাদের খানের ছেলে। হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত অভিনেতা কাদের খান (৮১) মারা গেছেন। কানাডার একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রী শশিতাকে নিয়ে সরফরাজ খান কানাডায় আছেন। কাদের খানও দীর্ঘদিন তাঁদের কাছেই ছিলেন। মৃত্যুকালে কাদের খান স্ত্রী হাজরা, তিন ছেলে ও তাঁদের স্ত্রী এবং নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

কাদের খানের দাফনের ব্যাপারে সরফরাজ খান বলেন, ‘মুম্বাই নয়, বাবাকে কানাডার টরন্টোতেই দাফন করা হবে। এখানে আমাদের পুরো পরিবার রয়েছে। আমরা সবাই এখানেই থাকি। তাই বাবার শেষ কাজও এখানেই হবে।’

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সরফরাজ খান বলেন, ‘বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে তাঁর ভক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা যেভাবে সব সময় আমাদের পরিবারের পাশে থেকেছেন, আমাদের মনোবল জুগিয়েছেন, এ জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’

পিটিআই আগেই জানিয়েছে, কাদের খান শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে নিয়মিত ভেন্টিলেটর থেকে বাইপ্যাপ ভেন্টিলেটরে স্থানান্তরিত করেন। দুই দিন আগে জানা যায়, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই পুরো সময়টা কাদের খানের ছেলে সরফরাজ আর তাঁর স্ত্রী হাসপাতালেই ছিলেন।

আগেই জানা গেছে, কাদের খান অনেক দিন থেকেই প্রোগ্রেসিভ সুপ্রানিউক্লিয়ার পলসিতে (পিএসপি) ভুগেছিলেন। এ সমস্যায় রোগীরা স্বাভাবিক ভারসাম্য ও স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন। পিএসপির কারণে তিনি বাক্‌শক্তি হারিয়ে ফেলেন। ২০১৫ সালে মুম্বাইয়ে তাঁর হাঁটুতে একটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

কাদের খানের জন্ম আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে। বলিউডে ৩০০ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ২৫০টি ছবির সংলাপ লিখেছেন। রাজেশ খান্না অভিনীত ‘দাগ’ ছবি দিয়ে ১৯৭৩ সালে বলিউডে অভিনয়জীবন শুরু করেন কাদের খান।