নায়ক-নায়িকার বয়স জিজ্ঞেস করতে নেই!

বাসায় আসার পর এভাবেই সবাই চমকে দেন মীর সাব্বিরকে
বাসায় আসার পর এভাবেই সবাই চমকে দেন মীর সাব্বিরকে

: মীর সাব্বির, আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন।

: ধন্যবাদ।
: অনেকের কথা শোনা যাচ্ছে। কোথায় আছেন?
: বাসায়ই আছি। অনেকে এসেছেন।
: এবার জানতে পারি, আপনার বয়স কত হলো?
: না না, নায়ক-নায়িকার বয়স জানতে নেই। নায়ক-নায়িকার বয়স ফিক্সড, ২০ থেকে ২২।
: বলেন কী!
: হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। আগে আমিও জানতাম, মেয়েদের কাছে বয়স জানতে চাওয়া অভদ্রতা। এখন জানি, নায়ক-নায়িকারও বয়স বলা যাবে না।

মীর সাব্বির নিজেও তা বেশ উপভোগ করেছেন
মীর সাব্বির নিজেও তা বেশ উপভোগ করেছেন

ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় তারকা মীর সাব্বিরের আজ জন্মদিন। গতকাল সোমবার রাত ১২টার পর ছোট পর্দার আরেক তারকা তানভীন সুইটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মীর সাব্বিরের জন্মদিন উদ্‌যাপনের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। এর পর রাতেই কথা হয় মীর সাব্বিরের সঙ্গে। তখন তিনি ছিলেন ধানমন্ডিতে, তাঁর বাসায়।

মীর সাব্বির জানান, সন্ধ্যায় দরকারি মিটিং ছিল। মিটিং শেষ করে বাসায় ফিরতে একটু রাত হয়ে যায়। বাসায় ফিরে তিনি অবাক। তাঁর জন্য বড় চমক অপেক্ষা করছিল। আর এই চমকের ব্যবস্থা করেন তাঁর স্ত্রী ফারজানা চুমকি, দুই ছেলে মীর ফারসাদ ও মীর সানদিদ। তাঁকে চমকে দিতে বাসায় আরও আসেন স্বামীকে নিয়ে তানভিন সুইটি, দীপা খন্দকার, স্ত্রীকে নিয়ে আহসানুল হক মিনু, অলিউল হক রুমিসহ অনেকে। তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কেক কেটেছেন মীর সাব্বির।

স্ত্রী ফারজানা চুমকি আর দুই ছেলে মীর ফারসাদ ও মীর সানদিদের সঙ্গে মীর সাব্বির
স্ত্রী ফারজানা চুমকি আর দুই ছেলে মীর ফারসাদ ও মীর সানদিদের সঙ্গে মীর সাব্বির

জানালেন, তিনি বড় হয়েছেন বরগুনা শহরে। এখন যেভাবে জন্মদিনকে ঘিরে আনন্দ হয়, ফুর্তি হয়, সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়, বেড়ানো আর খাওয়াদাওয়া হয়; ওই সময় সেই মফস্বল শহরে জন্মদিন উদ্‌যাপনের সংস্কৃতি ছিল না। তাই নিজের জন্মদিন উদ্‌যাপনের স্মৃতি বলতে বাবা একবার মসজিদে মিলাদের আয়োজন করেছিলেন, আরেকবার জন্মদিনে বাবা-মাকে তিনি সালাম করেছিলেন। তখন দুজনই অবাক হন। হঠাৎ সালাম কেন? তখন মীর সাব্বির বলেছিলেন, ‘আব্বা আজকে আমার জন্মদিন।’ তখন বাবা-মা দুজনই তাঁকে দোয়া করেছিলেন।

মীর সাব্বির তাঁর জন্মদিন আলাদা উপভোগ করেছেন প্রেমের দিনগুলোতে। ছোট পর্দার তারকা ফারজানা চুমকির সঙ্গে বিয়ের আগে চার বছর প্রেম করেছেন। তখন জন্মদিনে প্রেমিকার কাছ থেকে আরচি’স গ্যালারির কার্ড আর নানা উপহার পেয়েছেন। সারা দিন দুজনে ঘুরেছেন, একসঙ্গে বাইরে খাবার খেয়েছেন। মীর সাব্বিরের ভাষায়, ‘সে এক অন্যরকম অনুভূতি!’

সবার সঙ্গে সুইটির সেলফি
সবার সঙ্গে সুইটির সেলফি

ফারজানা চুমকির সঙ্গে বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন মীর সাব্বির উদ্‌যাপন করেছেন লঞ্চে। বললেন, ‘সেই জন্মদিনটা কখনো ভুলব না। বরগুনা যাচ্ছি। সেদিন লঞ্চে ছিলেন আমার বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, বোন-দুলাভাইসহ দুই পরিবারের অনেকেই। আজ সেই দিনটির কথা খুব মনে পড়ছে। কারণ আজ আমার বাবা নেই, শ্বশুর নেই, দুলাভাইও নেই।’

জন্মদিন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বাইরে তেমন কাজ রাখেননি মীর সাব্বির। সারা দিন পরিবারের সঙ্গেই থাকার ইচ্ছা তাঁর।