শিল্পী সমিতিতে দ্বন্দ্বের আভাস

ফেরদৌস, পপি ও জায়েদ
ফেরদৌস, পপি ও জায়েদ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির চলতি কমিটির দুই বছর মেয়াদের এখনো চার মাস বাকি। মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে নতুন কমিটির নির্বাচন। কিন্তু তার আগেই নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে ফেরদৌস, রিয়াজ, পূর্ণিমা, পপিসহ বেশ কয়েকজনকে সমিতি থেকে খানিকটা দূরে দূরে থাকতে দেখা গেছে। সম্প্রতি শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সংসদের মিটিং শেষে নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হইচইও হয়েছে।

প্রকাশ্যে না হলেও সমিতিতে দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্বীকার করলেন সমিতির কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ফেরদৌস। কাকে ঘিরে, কেন এই দ্বন্দ্ব? ফেরদৌস বলেন, ‘আমি নাম বলতে চাই না। যখন সমিতির মধ্যে দায়িত্বশীল কোনো নেতা কোনো কোনো সিনিয়র শিল্পীকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন, তখন বিষয়টি ভালো লাগে না।’

ফেরদৌস আরও বলেন, ‘এমন কথাও শুনেছি, ওই নেতা নাকি বলেছেন, কোনো কোনো শিল্পী সমিতিতে নির্বাচিত হয়ে না আসতে পারলে এত দিনে তাঁদের নাকি চলচ্চিত্রে খুঁজে পাওয়া যেত না। এসব বলা কি ঠিক? যাঁদের নিয়ে এসব বলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ তো জন্মাবেই।’

এই দ্বন্দ্বের প্রভাব এবারের পিকনিকেও পড়েছে বলে মন্তব্য করলেন এই অভিনেতা। ফেরদৌস বলেন, ‘দেখুন, গতবার পিকনিককে ঘিরে চারদিকে হইচই পড়ে গিয়েছিল। এবার তো তা নেই। কারণ এটাই।’

সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার সমিতির কারও ব্যাপারে কোনো নেতিবাচক কথা বলিনি।’

জায়েদ খান আরও বলেন, ‘আমরা কমিটিতে আসার পর চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয়, শিল্পীদের মান উন্নয়ন নিয়ে যে পরিমাণ কাজ করেছি, অতীতের আর কোনো কমিটিই তা করতে পারেনি।’

দ্বন্দ্বের বিষয়ে পপিও আভাস দিলেন খানিকটা। বলেন, ‘এ ব্যাপারে অনেক কিছুই বলার আছে। বলতে গেলে সময় লাগবে। আমি একটি অনুষ্ঠানে আছি। এখন কথা বলতে পারছি না।’

এদিকে ২০১৮ সালে চলচ্চিত্রে অনিয়ম করার জন্য বড় একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠনের সমন্বয়ে তৈরি চলচ্চিত্র পরিবার। আন্দোলনে আগে থেকে শিল্পী সমিতির বেশ কিছু নেতা বড় ভূমিকা রাখেন। এখন তাঁদের কয়েকজনের ওই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক দেখা গেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একান্ত আলাপচারিতায় তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও শোভা পাচ্ছে। এতে করে সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্বটা স্পষ্ট হয়েছে।

এ ব্যাপারে জায়েদ খান বলেন, ‘বিষয়টি সংবিধানের বাইরে। এটি নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে কমিটির সদস্যদের কারও কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। তাই বলে তা প্রকাশ করে সংগঠনের ক্ষতি করা ঠিক না। যা কিছুই হোক, চলচ্চিত্রের স্বার্থে কমিটির ২১ জন সদস্যের এক হয়ে কাজ করা উচিত।’