প্রার্থিতা ফিরে পেলেন শাফিন

শাফিন আহমেদ
শাফিন আহমেদ

মাইলস ব্যান্ডের জনপ্রিয় শিল্পী শাফিন আহমেদ ঋণখেলাপি—এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয়। আপিল করে চার দিনের মাথায় প্রার্থিতা ফিরে পেলেন তিনি। আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শাফিন আহমেদ বলেন, ‘আমাকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরানোর চেষ্টা ছিল। সম্ভব হয়নি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, তা শেষ পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত হয়েছে।’

শনিবার প্রার্থিতা বাতিলের খবরটি জানতে পারেন শাফিন আহমেদ। বিষয়টিতে তিনি বেশ অবাক হন। বললেন, ‘আমার কাছে একটু আশ্চর্য লেগেছিল এই ভেবে যে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দুই দিন আগে সিআইবি প্রতিবেদন নিজে দেখে এসেছি। কোনো সমস্যা দেখিনি। এরপর হঠাৎ কোথা থেকে এই চিঠি নির্বাচন কমিশনে গেল! পুরো ব্যাপারটিতে অবাক হওয়া ছাড়া আমার কোনো উপায় ছিল না।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যান্ড শিল্পী মোহাম্মদ শাফিন আহমেদ। ৩০ জানুয়ারি শাফিন আহমেদের মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এর আগেও মেয়র পদে লড়তে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন শাফিন আহমেদ। এ নিয়ে প্রচারণাও শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু তখন নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। শাফিন বলেন, ‘নির্বাচন এখন কেমন হবে সেই ধারণা তো কিছুটা হলেও আমার হয়েছে। কী হচ্ছে, কী হতে যাচ্ছে, প্রচারণা কেমন হতে পারে—এটা আমার ভাবনার মধ্যে আছে। তবে সিদ্ধান্ত ভোটারদের হাতে। আমি মনে করি, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয়, অর্থাৎ ভোট যেন সবাই দিতে পারেন, সেটাই শুধু আমার চাওয়া।’

শাফিন আহমেদের মতে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে যাঁরা লড়ছেন তাঁদের সবার থেকে তিনি বেশি পরিচিত। শুধু তা-ই নয়, প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা তাঁর মধ্যে বেশ ভালোমতো আছে বলেন মনে করেন তিনি। শাফিন বললেন, ‘পরিচিতি কিংবা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ, অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে আমার অনেক বেশি। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে আছি। সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থেকে কত শত দিন যে পার করেছি তার কোনো হিসাব নেই। সেই হিসাবে জোর দিয়ে বলতে পারি, আমার সঙ্গে সাধারণ মানুষদের যোগাযোগ অনেক বেশি।’

শাফিন আহমেদের একটাই চাওয়া, ঢাকা শহরের মানুষ যেন শান্তিতে ভোট দিতে পারেন। সুষ্ঠু ভোট দেওয়ার পর ফলাফল যা-ই আসুক, তাই তিনি মেনে নেবেন। শাফিন বলেন, ‘ভোটাররাই নির্ধারণ করুক তারা কাকে মেয়র হিসেবে দেখতে চায়। আমি এতটুকু নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, আমার থেকে সবাই নতুনত্ব পাবেন। আমি ভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষ। কিন্তু ভাবনা-চিন্তা আর অনেক জ্ঞানবুদ্ধি রাখি। কোনো বিষয় আমার কাছে নতুন না। প্রশাসনিক ব্যাপারগুলো পরিচালনার ব্যাপার নতুন না। কারণ গানের পাশাপাশি করপোরেট জীবন আমার বহুদিনের। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা আমার আছে।’