আট ছবি রপ্তানি, দুটি আমদানির অনুমোদন

জান্নাত ছবির পোস্টার ও বচ্চন ছবির পোস্টার
জান্নাত ছবির পোস্টার ও বচ্চন ছবির পোস্টার

প্রায় তিন মাস পর চলচ্চিত্র আমদানি ও রপ্তানির জন্য সুপারিশ প্রদানের কমিটির মিটিং হলো তথ্য মন্ত্রণালয়ে। মিটিংয়ে বাংলাদেশের আটটি ছবি ভারতের কলকাতায় রপ্তানি ও কলকাতা থেকে দুটি ছবি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৯ মার্চ দুপুরে কমিটির সব সদস্যের অনুমতিক্রমে ছবিগুলো আমদানি ও রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আমদানি-রপ্তানি সুপারিশ কমিটির সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার। তিনি জানান, মিটিংয়ে বাংলাদেশের আটটি ছবি কলকাতায় রপ্তানি ও ভারতের দুটি ছবি বাংলাদেশে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কলকাতায় রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া বাংলাদেশের ছবিগুলো হলো জান্নাত, ফিফটি ফিফটি লাভ, পাংকু জামাই, দাগ হৃদয়ে, শাহেনশাহ, বয়ফ্রেন্ড, চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্ল্যা মাইয়া ও ধূসর কুয়াশা। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানির অনুমোদন পাওয়া কলকাতার ছবিগুলো হলো বচ্চন ও থাই কারি।

অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এন ইউ আহাম্মদ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়াও। তিনি থাই কারি ছবিটি আমদানি ও দাগ হৃদয়ে ছবিটি রপ্তানির জন্য আবেদন করেছিলেন। অনুমোদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয়ে ১৯ মার্চের মিটিংয়ে আটটি ছবি রপ্তানি ও দুটি আমদানির অনুমোদন হয়েছে। তবে এখনো অনুমোদনের চিঠি হাতে আসেনি। হয়তো আগামী সপ্তাহে পেয়ে যাব। এরপর ছবিগুলোর আমদানি ও রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু করব আমরা।’

এদিকে ভারত থেকে আমদানির জন্য বচ্চন, রপ্তানির জন্য জান্নাত, ফিফটি ফিফটি লাভ ছবিগুলোর জন্য আবেদন করেছিল আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন উইন এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ইফতেখার উদ্দিন অনুমোদনের বিষয়ে খানিকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আবেদন জমা দেওয়ার তিন মাস পর অনুমোদন পাওয়া গেল। কিন্তু এত দীর্ঘ সময় পর অনুমোদন পেলে তো ছবি আমদানি-রপ্তানি করে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘একটি নতুন ছবি কলকাতায় যেদিন মুক্তি পাবে, আমদানিতে বাংলাদেশেও সেদিন মুক্তি পাবে, এমনটাই চাওয়া আমাদের। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন দিতেই মাসের পর মাস পার হয়ে যাচ্ছে। তত দিনে ওই ছবি পুরোনো হয়ে যায়। অনেক সময় বাংলাদেশে আসার আগেই পাইরেসি হয়ে যায়।’

আবেদনের দ্রুত সমাধানের বিষয়ে মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আবেদনপত্র নিয়ে মিটিংয়ের আয়োজন করে মন্ত্রণালয়। এরপর সদস্যদের ডাকা হয়। আবেদনগুলো নিয়মের মধ্যে থাকলেই আমরা অনুমোদন দিয়ে দিই। মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে অনুমোদনের জন্য দ্রুতই মিটিং সম্ভব।’