এসেই ঊর্মিলার জ্বালাময়ী ভাষণ

ঊর্মিলা মাতন্ডকর
ঊর্মিলা মাতন্ডকর

দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর বাসভবনে গিয়ে দেখা করার পর গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে যোগ দেন ঊর্মিলা মাতন্ডকর। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমি কংগ্রেসের আদর্শে বিশ্বাস করি। সে জন্যই এখানে এসেছি। আজকের দিনটা আমার জন্য খুবই বিশেষ। কারণ, আজ রাজনীতিতে যোগ দিয়েছি। ছোটবেলা থেকেই আমি মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত।’ ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলোতে তারকাদের যুক্ত হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু এর সঙ্গে তাঁকে না মেলানোর জন্য বলেছেন বলিউডের একসময়ের অন্যতম জনপ্রিয় এই তারকা। বললেন, ‘যাওয়া-আসা নয়, আমি এখানে থাকতে এসেছি।’

কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে ঊর্মিলা মাতন্ডকর বলেন, ‘তিনি সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলায় বিশ্বাসী। আজ এমন নেতা দেশের জন্য খুব জরুরি।’ আর কংগ্রেসকে নিয়ে বললেন, ‘কংগ্রেস স্বাধীনতা আন্দোলনে লড়েছে। এই দল দেশের নাগরিকদের স্বাধীনতা রক্ষার পক্ষে। তবে মোদি সরকারের আমলে নাগরিকদের স্বাধীনতা হরণের অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে।’

এদিকে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেই জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেছেন ঊর্মিলা মাতন্ডকর। তিনি বলেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে দেশে শুধুই অশান্তি দেখতে পাচ্ছি। দেশে অসহিষ্ণুতা অনেক বেড়ে গেছে। আমি মনে করি, নরেন্দ্র মোদির ভুল নীতির কারণে দেশ আজ সুরক্ষিত না।’

তবে ঊর্মিলা মাতন্ডকরের এই বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নজন নানা মন্তব্য করছেন। এই মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘মুম্বাইয়ে ২৬/১১ হামলার পর ঊর্মিলা কোনো মন্তব্য করেননি। ওই সময় তিনি নিজেকে মোটেও অরক্ষিত মনে করেননি!’ ‘ঊর্মিলা, আপনি তো কাশ্মীরের ব্যবসায়ী মহসীন আখতার মীরকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু তা প্রকাশ করতে ভয় পান কেন?’ ‘নরেন্দ্র মোদির সময় দেশে আতঙ্কবাদী হামলা কমেছে এবং সুরক্ষা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও আপনার কাছে দেশকে অরক্ষিত মনে হচ্ছে?’

জানা গেছে, ঊর্মিলা মাতন্ডকর ভারতের লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে কোন কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস তাঁকে মনোনয়ন দেবে, তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি। শোনা যাচ্ছে, উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র থেকে ঊর্মিলা মাতন্ডকরকে মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর আগে এই কেন্দ্র থেকে প্রয়াত অভিনেতা সুনীল দত্ত পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে নির্বাচিত হন তাঁর মেয়ে প্রিয়া দত্ত। গত লোকসভা নির্বাচনে এ আসনে বিজেপির দলীয় প্রার্থী গোপাল শেঠি জয়ী হয়েছেন। আসনটি পুনরুদ্ধার করতে উঠেপড়ে লেগেছে কংগ্রেস।