এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে সন্ধ্যা ছয়টায়

সুবীর নন্দী
সুবীর নন্দী

উন্নত চিকিৎসার জন্য সুবীর নন্দীকে আজ সোমবার সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে। তাঁকে নেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসবে আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায়। এরপর রাত আটটা নাগাদ সুবীর নন্দীকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হবে। তাঁর সঙ্গে যাবেন মেয়ে মৌ। জানালেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি সুবীর নন্দীর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করছেন। তিনি আরও জানালেন, আজ সকালে সুবীর নন্দীকে এক ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে।

সুবীর নন্দীর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আগের মতোই আছে। খুব একটা ভালো না।’

আগেই জানা গেছে, একুশে পদক পাওয়া দেশের বরেণ্য এই সংগীতশিল্পীকে দ্রুত সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ‘সুবীর নন্দীর চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি মন দিয়ে সব শুনেছেন। এরপর তিনি সুবীর নন্দীকে দ্রুত সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখান থেকে সুবীর নন্দীর চিকিৎসার ব্যাপারে সবুজসংকেত পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুরে এই হাসপাতালেই সুবীর নন্দীর চিকিৎসা হবে।’

সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, ‘সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। সবাই তাঁর জন্য দোয়া করেন। আমরা আশা করছি, সবার দোয়ায় তাঁকে আবার আমরা ফিরে পাব।’

সুবীর নন্দী ১২ এপ্রিল পরিবারের সবাইকে নিয়ে মৌলভীবাজারে আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখানে একটি অনুষ্ঠান ছিল। ঢাকায় ফেরার ট্রেনে ওঠার জন্য বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে শ্রীমঙ্গলে আসেন তাঁরা। ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুবীর নন্দী। সেখানে একজন চিকিৎসক থাকায় তাঁর পরামর্শে সুবীর নন্দীকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান। রাত ১১টার দিকে তাঁকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন। সুবীর নন্দী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হার্টের অসুখে ভুগছেন।