কার জন্য ভোট চাচ্ছেন সোনাক্ষী?

মা পুনম সিনহার (বাঁয়ে) নির্বাচনী প্রচারণায় সোনাক্ষী সিনহা
মা পুনম সিনহার (বাঁয়ে) নির্বাচনী প্রচারণায় সোনাক্ষী সিনহা

সবাই জানেন, সোনাক্ষী ইনস্টাগ্রামের কতটা সক্রিয়। কোনো কিছু জানাতে বা ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতে তিনি হাতে তুলে নেন ইনস্টাগ্রাম। গত শুক্রবার মা পুনম সিনহার সঙ্গে লক্ষ্ণৌতে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন এই বলিউড তারকা। দেরি না করে সেই ছবি শেয়ার করেন ভক্তদের সঙ্গে।

বিজেপি নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হয়েছেন পুনম। এবার মায়ের হয়ে নরেন্দ্র মোদির বিপক্ষে সরাসরি রাস্তায় নামলেন সোনাক্ষী। সোনাক্ষীর বাবা বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাও কংগ্রেসের হয়ে পাটনা থেকে নির্বাচনে লড়ছেন। এর আগে শত্রুঘ্ন সিনহার বিজেপি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত অনেকেই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। তাঁকে নিয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে। তখন বাবার পাশে এসে দাঁড়ান মেয়ে বলিউড তারকা সোনাক্ষী সিনহা। বলেছেন, ‘বাবা সেই জে পি নারায়ণ, অটলবিহারি বাজপেয়ি, এল কে আদভানির সময় থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে যুক্ত। দলের একজন প্রবীণ নেতা হিসেবে তাঁর যতটা শ্রদ্ধা প্রাপ্য, তিনি মোটেই তা পাননি। তাই আমার মনে হয়, বাবার হয়তো এই সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল।’

২০১০ সালে ‘দাবাং’ ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু এই বলিউড তারকার। তিনি এখন মধ্যপ্রদেশে সালমান খানের সঙ্গে ব্যস্ত আছেন ‘দাবাং থ্রি’র শুটিংয়ে। এত ব্যস্ততার মধ্যেও ঠিকই সময় বের করেছেন। মায়ের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।

সোনাক্ষী সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, তাঁর স্ত্রী ডিম্পল আর তাঁদের পুরো পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গত শুক্রবার বিকেলে হজরতগঞ্জের জিপিও থেকে শুরু হওয়া রোড শোতে অংশ নেন। আর সেখানে যা হওয়ার, তা-ই হয়েছে। রোড শোর মূল আকর্ষণ হয়ে যান সোনাক্ষী। প্রিয় তারকাকে একনজর দেখার জন্য প্রচুর মানুষ যোগ দেন রোড শোতে। যাঁরা ভাগ্যবান, তাঁরা কাছ থেকে দেখেছেন রুপালি পর্দার নায়িকা সোনাক্ষীকে। যাঁরা কাছ থেকে দেখতে পাননি, তাঁদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে প্রিয় তারকার হাত নাড়ানো দেখেই।

শুক্রবার এই রোড শোতে সোনাক্ষী সিনহার পাশে ছিলেন ভাই কুশ সিনহা। মায়ের প্রচারণায় দুই ভাইবোন লক্ষ্ণৌ শহরে প্রায় ছয় কিলোমিটার হেঁটেছেন। গত এপ্রিলে রাজনীতিতে যোগ দেন পুনম সিনহা। এবার লোকসভা নির্বাচনেই তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি হবে। প্রচারণা তো ভালোই করলেন। এবার ৬ মে জানা যাবে রাজনীতির পরীক্ষায় তিনি জিতলেন না হারলেন। ওই দিন ভোট হবে লক্ষ্ণৌতে।