অক্ষয়ের জাতীয় পুরস্কার কেড়ে নেওয়া হবে?

অক্ষয় কুমার
অক্ষয় কুমার

অক্ষয় কুমার টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি কোন দেশের নাগরিক, তা নিয়ে হঠাৎ কিছু মানুষের এত উৎসাহ দেখে অবাক হচ্ছি। তাঁরা আমাকে নিয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। আমার কানাডার পাসপোর্ট রয়েছে, এ কথা কখনো লুকিয়েছি কিংবা অস্বীকার করেছি? গত সাত বছরে আমি একবারও কানাডা যাইনি। আমি ভারতে কাজ করছি। আমি এবং আমার পরিবার এখানেই আছি। ঠিক সময়ে আমি যাবতীয় ট্যাক্স পরিশোধ করছি।’

২৯ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনে মুম্বাইয়ে ভোট দিয়েছেন বলিউডের সাবেক তারকা টুইঙ্কেল খান্না। কিন্তু সেদিন ভোট দেননি তাঁর স্বামী অক্ষয় কুমার। তিনি ভোট ‘দেননি’ না বলে তিনি ‘ভোট দেওয়ার যোগ্য নন’ বলা অধিক যুক্তিযুক্ত। কারণটা টুইটারে তিনি নিজেই বলেছেন।

এই ঘটনার পর অক্ষয় কুমারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অক্ষয়ের এই পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক যে এবারই প্রথম হচ্ছে, তা নয়। ২০১৬ সালে ৬৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘রুস্তম’ চলচ্চিত্রের জন্য অক্ষয় কুমার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ওই বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের প্রধান ছিলেন পরিচালক প্রিয়দর্শন। শোনা যায়, তিনি ‘রুস্তম’কে শ্রেষ্ঠ ছবি আর অক্ষয় কুমারকে সেরা অভিনেতা বিভাগে চূড়ান্ত করতে অন্য সব জুরিকে প্রভাবিত করেছেন। তামিল পরিচালক এ আর মুরুগাদোস তখন বলেছিলেন, ‘এই পুরস্কার খুবই পক্ষপাতদুষ্ট। জুরি বোর্ড দেখলেই বোঝা যায়, এরা প্রভাব খাটাতে পারে।’

অপূর্ব আস্রানী ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা, সম্পাদক এবং চিত্রনাট্যকার। ‘শহীদ’ (২০১৩), ‘আলিগড়’ (২০১৬) এবং ‘সত্য’র (১৯৯৮) মতো চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন। এবার তিনি টুইটারে নতুন করে অক্ষয় কুমারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি অক্ষয় কুমারের ‘সেরা অভিনেতা’ বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধান করে দেখতে বলেছেন। টুইটারে অপূর্ব আস্রানী লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, এই প্রশ্ন তোলা খুব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কানাডার নাগরিক কি আসলেই ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য? ২০১৬ সালে তিনি সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেলেন। আমরা ভাবছিলাম, “আলিগড়” চলচ্চিত্রের জন্য সেটি পাবেন মনোজ বাজপেয়ি। তখন জুরি বোর্ড যদি অক্ষয় কুমারের ক্ষেত্রে ভুল করে থাকে, তাহলে এখন নতুন করে সেরা অভিনেতা নির্বাচন করার কোনো সুযোগ আছে?’

এই টুইট আবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শুধু এটুকু বলেই ক্ষান্ত থাকেননি অপূর্ব আস্রানী। তিনি ‘থার্টি সিক্স চৌরঙ্গী লেন’ (১৯৮১) আর ‘উমরাও জান’ (১৯৮১) ছবির উদাহরণ টেনে বলেছেন, ‘শশী কাপুর ব্রিটিশ নাগরিক জেনিফার কেন্ডালকে বিয়ে করেন। কিন্তু “থার্টি সিক্স চৌরঙ্গী লেন” ছবিতে অসাধারণ অভিনয় করার পরও জেনিফার কেন্ডালকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়নি। তখন “উমরাও জান” ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন রেখা।’