যৌনপল্লির দৃশ্য মেনে নেয়নি সেন্সর বোর্ড

‘বান্ধব’ চলচ্চিত্রের দৃশ্যে গাজী রাকায়েত। ছবি: সংগৃহীত
‘বান্ধব’ চলচ্চিত্রের দৃশ্যে গাজী রাকায়েত। ছবি: সংগৃহীত

ছাড়পত্রের জন্য তিন মাস আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা পড়েছে ‘বান্ধব’। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা ছবিটি দেখার পর যৌনপল্লির দৃশ্যসহ কয়েকটি দৃশ্য মেনে নেননি। শর্ত দেন, ছবির এসব দৃশ্য বাদ দিতে হবে। তিন মাস পর সেসব দৃশ্য বাদ দিয়ে ছবিটি আবার জমা দেওয়া হয়। এবার প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে ছবিটি। গত মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত সনদ হাতে পেয়েছেন ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অনুপম কথাচিত্রের স্বত্বাধিকারী অনুপ কুমার বড়ুয়া। ঈদের পর সুবিধাজনক সময়ে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য ও প্রযোজক খোরশেদ আলম প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপের সময় ছবির গল্পের প্রশংসা করেছেন।

‘বান্ধব’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন সুজন বড়ুয়া। ছবির কাহিনি ও সংলাপ লিখেছেন ম ম রুবেল। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে গাজীপুরের জয়দেবপুরে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। এরপর হোতাপাড়া, পূবাইল, রূপগঞ্জ, সাভারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুটিং হয়েছে।

কোন তিনটি দৃশ্য বাদ দেওয়া হয়েছে? পরিচালক সুজন বড়ুয়া বলেন, ‘যৌনপল্লিতে গালাগালির দৃশ্য, ধূমপান ও নায়িকার একটি পোশাকের ব্যাপারে আপত্তি জানান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা। এরপর সংশোধন করে জমা দিই। আমাদের চলচ্চিত্র এখন কঠিন সময় পার করছে। এখন বেশির ভাগ সিনেমার গল্প নিয়ে চলচ্চিত্রের দর্শক আর সমালোচক কেউ সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। এই সময়ে আমি একটি বাস্তবধর্মী গল্প বলার চেষ্টা করেছি। দর্শক চলচ্চিত্রটি দেখে বুঝতে পারবেন, একটা জন্মপরিচয়হীন শিশু কীভাবে জীবন পার করে। বাবা-মা ও সন্তানের সংগ্রামের জীবনের গল্প আমি বলতে চেয়েছি।’

খোরশেদ আলম বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম আমরা ছবিটি দেখি। কিছু দৃশ্যের কর্তন দেওয়া হয়। সেসব দৃশ্য কর্তন করে সিনেমাটি আবার সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর সবাই নীতিগতভাবে ছবিটির ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

‘বান্ধব’ ছবির গানগুলোর সংগীত পরিচালনা করেছেন শেখ সাদী খান। মুনসী ওয়াদুদ ও সুদীপ কুমার দীপের লেখা গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল, বেলি আফরোজ, চৈতি মুৎসুদ্দি প্রমুখ। ছবিতে অভিনয় করেছেন সুমিত, মৌ খান, গাজী রাকায়েত, রেবেকা, জয় রাজ প্রমুখ।