এ টি এম শামসুজ্জামানকে বিদেশে নিতে চায় পরিবার

এ টি এম শামসুজ্জামান
এ টি এম শামসুজ্জামান

দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। চিকিৎসা শুরুর কয়েক দিন পর তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। এরপর আবার স্বাভাবিক নিয়মে শ্বাস নিতে পারলে লাইফসাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে চার দিন আগে তাঁকে আবার লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। এখনো সেভাবেই আছেন তিনি। অবস্থার কোনো উন্নতি বা অবনতি নেই। এ অবস্থায় পরিবার চায়, বিদেশে নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে। আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে এই ইচ্ছার কথা জানান মেজ মেয়ে কোয়েল আহমেদ।

এদিকে আজ অসুস্থ এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন, সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার।

হাসপাতাল ঘুরে এসে সামন্ত লাল সেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরেণ্য অভিনয়শিল্পী এ টি এম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থা ভালো না, খারাপও না। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় তিনি ভুগছেন।’

এ টি এম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা মনে করছি, উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবাকে বিদেশে নিতে পারলে ভালো হতো। এখনো বাবা যে অবস্থায় আছেন, তাঁকে যত তাড়াতাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়, ততই ভালো। সন্তান হিসেবে বাবাকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দিতে পারলে আমরা শান্তি পাব। শুনেছি বাবাকে দেশের বাইরে নেওয়ার জন্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কয়েকজন উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন।’

চিকিৎসকদের মতে, এ টি এম শামসুজ্জামানের ফুসফুস এখনো খুবই দুর্বল। তাই চিকিৎসকেরা কোনো ঝুঁকি নিতে চান না। এ টি এম শামসুজ্জামান রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। এখানে অধ্যাপক মতিউল ইসলাম তাঁর চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করছেন। ।

এ টি এম শামসুজ্জামান গত ২৬ এপ্রিল রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। সেদিন রাত ১১টার দিকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাঁর ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ৩০ এপ্রিল তাঁকে প্রথম লাইফসাপোর্ট দেওয়া হয়।