সেই শফিকুলের জন্য গান করেছেন বিচারক

‘গানের রাজা’র প্রথম রানারআপ শফিকুল ইসলাম ও প্রতিযোগিতার বিচারক ইমরান মাহমুদুল
‘গানের রাজা’র প্রথম রানারআপ শফিকুল ইসলাম ও প্রতিযোগিতার বিচারক ইমরান মাহমুদুল

‘গানের রাজা’ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি শফিকুল ইসলাম। তিনি হয়েছিলেন প্রথম রানারআপ। ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা নিয়ে অনেকেই নানা মন্তব্য করেন। সেই শফিকুল ইসলাম এবার মৌলিক গান গেয়েছেন। গানটি লোক আঙ্গিকের। আর তাঁর জন্য গান তৈরি করেছেন এই প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক সুরকার, সংগীত পরিচালক ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। গানের কথা লিখেছেন স্নেহাশিস ঘোষ। গানটির শিরোনাম ‘ভাবতে ঘেন্না লাগে’। গত বৃহস্পতিবার রাতে ইমরানের নিজের স্টুডিওতে এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম। আগামী ঈদুল ফিতরে অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি থেকে গানটি ভিডিওসহ প্রকাশিত হওয়ার কথা আছে।

ইমরান মাহমুদুল বলেন, ‘প্রতিযোগিতার দিনগুলোতে শফিকুলের মধ্যে সম্ভাবনা দেখেছি। ও শতভাগ মন দিয়ে এই গানটি গেয়েছে। ওর কণ্ঠকে প্রাধান্য দিয়ে তেমন একটি গান তৈরি করেছি। ওর কণ্ঠে যে ধরনের গান দারুণ মানায়, প্রতিযোগিতায় ও যে ধরনের গান গেয়েছে, তেমনই একটি গান তৈরি করেছি। যেমনটা চেয়েছিলাম, ও তেমনই গেয়েছে। আমি তো বলব, গানটি শ্রোতাপ্রিয়তা পাবে।’

‘ভাবতে ঘেন্না লাগে’ গানে কণ্ঠ দেওয়ার পর দারুণ রোমাঞ্চিত শফিকুল। তিনি বলেন, ‘আমার বিচারক ইমরান মাহমুদুলের সুর ও সংগীতে গান গাইতে পেরেছি, খুব ভালো লাগছে। আমি ভাগ্যবান।’

‘গানের রাজা’ প্রতিযোগিতার সময় ইমরান মাহমুদুল ঘোষণা দিয়েছিলেন, এই প্রতিযোগিতার সেরা পাঁচজনকে নিয়ে বিনা খরচে তিনি গান তৈরি করবেন। এবার বললেন, ‘এই রমজান মাসেই কাজগুলো করব। আর গানগুলো ভিডিও করে আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করব।’

গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ‘এসিআই এক্সট্রা ফান কেক-চ্যানেল আই গানের রাজা’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন খুলনার ফাইরুজ লাবিবা আর প্রথম রানারআপ হয়েছেন নেত্রকোনার শফিকুল ইসলাম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন ময়মনসিংহের সিঁথি সরকার।

এদিকে চ্যানেল আইয়ে ‘গানের রাজা’ প্রতিযোগিতার শফিকুল ও ‘খুদে গানরাজ ২০০৯’-এর প্রথম রানারআপ ঝুমার দ্বৈত কণ্ঠে একটি গান গেয়েছিলেন। ‘ইন্দু বালা’ গানটি ইউটিউবে আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার ৩৪১ বার।