মধু ফিরলেন 'ভূত' হয়ে

মধু
মধু

মধু শাহ...চিনলেন না তো? আচ্ছা যান, শুধু মধু। এবার চিনেছেন? ওই যে ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রোজা’ সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করা রোজা। ‘রোজা’ ছবিটি তিনটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়। শুধু তা–ই নয়, ছবিটি ১৮তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবির মনোনয়ন পায়। একাধারে হিন্দি, তামিল, তেলেগু ও কন্নড় ভাষার চলচ্চিত্রের মেধাবী অভিনেত্রী মধু। তিনি অনেক দিন ছিলেন বলিউডের বাইরে। তাঁকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৪ সালে, 'হলিডে' ছবিতে সোনাক্ষীর মায়ের ভূমিকায়।

তারপর বলিউডের দর্শকেরা তাঁকে মিস করেছে, অনেকের স্মৃতিতে হয়তো ঝাপসা হয়ে গেছে মধুর সুন্দর মুখ। কথায় বলে, চোখের আড়াল মানে মনের আড়াল। তাই আড়াল থেকে বেরিয়ে আবারও দর্শকদের সামনে আসতে চান মধু। জয় করতে চান দর্শকদের হৃদয়। তাই নতুন রূপে ধরা দেবেন এই অভিনেত্রী। আর ‘নতুন রূপ’ হলো ভূত!

মধু
মধু

ভূত বাস্তবে থাকুক বা না থাকুক, মানুষ ভূতে বিশ্বাস করতে ভালোবাসে। ভালোবাসে ভূতের গল্প পড়তে বা ভূতের সিনেমা দেখতে। বলিউডে অসংখ্য নামকরা ভূতের ছবি দর্শক হাঁ করে দেখেছে, হিট হয়েছে। আর বর্তমানে ‘মূলধারা’ ভেঙে ভূতের ছবির নির্মাণের যেন হিড়িক পড়ে গেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় ‘খাল্লি বাল্লি’ নামে নতুন একটা হরর কমেডি ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই মধু। মুম্বাই মিররকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মানুষ বিশ্বাস করতে ভালোবাসে যে আমি কাজ করছি না। আমি দেশের বাইরে অথবা দক্ষিণে স্থায়ী হয়ে যাচ্ছি। এসব মোটেও সত্যি না। আমি সব সময়ই মুম্বাই ছিলাম। আমি সিনেমা ভালোবাসি। আমি হিন্দি ছবি খুবই ভালোবাসি।’

অনেক দিন বলিউডের বাইরে থাকার পর ২০১৭ সালে মধুকে ‘আরম্ভ’ নামে একটা টিভি শোতে দেখা গেছে। মধুর ভাষায়, ‘প্রযোজক গোল্ডি ভেল টিভি শো আরম্ভর প্রস্তাব নিয়ে আমার কাছে আসেন। এটা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এরপর আমি বেশ কয়েকটা দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি।’

মুম্বাই মিররকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে মধু আরও জানান, ‘আরম্ভ’তে তাঁর সহ–অভিনেতা ছিলেন রাজনীশ দুগগাল। তাঁর মাধ্যমেই তিনি ‘খাল্লি বাল্লি’র সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘আরম্ভ করতে গিয়ে আমার আর রাজনীশের দারুণ বোঝাপড়া আর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আরম্ভ শেষ হওয়ার পর আমরা আবার একসঙ্গে কাজ করতে চাইছিলাম। তাই যখন ‘খাল্লি বাল্লি’র কথা আসল, তখন সে আমার নাম সুপারিশ করে।’

১৯৯১ সালে ‘ফুল আর কাঁটা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটে মধুর। এরপর ‘সার উঠাকে জিও’ (১৯৯৮), ‘চেহরা’ (১৯৯৯), ‘মুলাকাত’ (২০০১), ‘কাভি সোচা ভি না থা’ (২০০৮) প্রভৃতি বলিউডের ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

২০১৯ সালে তামিল ছবি ‘সীতারাম কল্যাণ’ও ‘প্রিমিয়ার পদ্মিনী’ ছবিতে অগ্নি এবং দেবীর চরিত্রে দেখা যায় ৫০ বছর বয়সী মধুকে।