'বিবর্তনমূলক অভিধান একটি ঐতিহাসিক কাজ'

বাংলা একাডেমি প্রকাশিত তিন খণ্ডের বাংলা ভাষার বিবর্তনমূলক অভিধানের প্রকাশনা-উত্তর আলোচনায় বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর l ছবি: প্রথম আলো
বাংলা একাডেমি প্রকাশিত তিন খণ্ডের বাংলা ভাষার বিবর্তনমূলক অভিধানের প্রকাশনা-উত্তর আলোচনায় বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর l ছবি: প্রথম আলো

বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান বাংলা একাডেমির ভাষাবিষয়ক গবেষণাকাজে একটি নতুন মাত্রা যোজনা করেছে। এটি বাংলা একাডেমির গবেষণামূলক ঐতিহ্যেরই পরিচয়বহ। এর প্রকাশনা কেবল বাংলা একাডেমির জন্যই নয়, বরং বাংলা ভাষাভাষী প্রতিটি মানুষের জন্যই গর্ব ও আনন্দের।
বাংলা একাডেমি একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সোমবার বিকেলে সম্প্রতি বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত তিন খণ্ডের বাংলা ভাষার বিবর্তনমূলক অভিধান-এর প্রকাশনা-উত্তর আলোচনা সভায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শুরুতে সদ্যপ্রয়াত কবি আবুল হোসেন স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার বিবর্তনমূলক অভিধানের সহযোগী সম্পাদক স্বরোচিষ সরকার বক্তব্য দেন। অভিধানের প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম মুরশিদ লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বলেন, ‘বাংলা একাডেমির আন্তরিক ব্যবস্থাপনায় ও সরকারের প্রয়োজনীয় সহায়তার মাধ্যমে অত্যন্ত স্বল্প সময়ে শ্রমসাধ্য এক মহার্ঘ অভিধান প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। একে মানদণ্ড ধরে ভবিষ্যতের ভাষা গবেষকবৃন্দ নতুন পথ নির্দেশ করতে সক্ষম হবেন বলে আমরা আশা করি।’
আলোচনায় অংশ নেন সাহিত্যিক হায়াৎ মামুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবুল হক, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জীনাত ইমতিয়াজ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হাকিম আরিফ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান বাংলা একাডেমির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অত্যন্ত স্বল্প সময়ে এমন একটি অভিধান প্রণয়ন করে একাডেমি বাংলা ভাষা-সাহিত্যের গবেষণায় তার যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছে। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এই অভিধানে যে বিপুল শব্দ-সমাবেশ ঘটেছে তা অভূতপূর্ব। নিয়মিত হালনাগাদের মাধ্যমে একে আরও উন্নত করতে হবে।