আজীবন সম্মাননা পেলেন ফাহ্মিদা খাতুন

ফাহ্‌মিদা খাতুনের হাতে ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। বাঁ পাশে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা l ছবি: সাহাদাত পারভেজ
ফাহ্‌মিদা খাতুনের হাতে ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। বাঁ পাশে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা l ছবি: সাহাদাত পারভেজ

‘আমি আপ্লুত। এখন অনেকের প্রধান পেশা গান। আমাদের সময়ে গান পেশা হিসেবে নেওয়া যেত না। লোকে নিন্দা-মন্দ করত। খারাপভাবে দেখত। তখন আমাদের পেশা এক রকম ছিল, আর নেশা আরেক রকম ছিল।’ গতকাল ‘মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার–২০১৫’ পেয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ফাহ্‌মিদা খাতুন।

ফাহ্‌মিদা খাতুন অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে সুর সাধনা করে চলেছেন। পারিবারিকভাবেই সাংগীতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতিপর্বে বিভিন্ন সভায় ‘সার্থক জনম আমার’, ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ এবং ‘আমার সোনার বাংলা’ গেয়ে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। শেখ লুৎফর রহমান, আবদুল আহাদ, আবদুল লতিফ, আলতাফ মাহমুদের সঙ্গে অতিক্রম করেছেন গণসংগীতের পথ।
পেয়েছেন সিকোয়েন্স পুরস্কার, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সম্মাননা, কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী স্মৃতি সম্মাননা, রবীন্দ্রনাথের জন্ম সার্ধশতবর্ষে ভারতের রবিতীর্থের সম্মাননা, বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা।
রবীন্দ্রসংগীত তাঁর প্রাণ, তবে পঞ্চকবির অন্য চারজনের গানেও তিনি সমান পারদর্শী। শুদ্ধ সংগীতের জগতে তাঁর রয়েছে স্থায়ী আসন।
ফাহ্‌মিদা খাতুনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। তাঁর হাতে ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন অঞ্জন চৌধুরী।
ফাহ্‌মিদা খাতুনকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানোর আগে বড় পর্দায় তাঁর জীবন ও কাজ তুলে ধরা হয়। এ সময় উপস্থিত সবাই তাঁকে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান।