আগামী বছর দেশে আসব

টনি ডায়েস ও প্রিয়া ডায়েস
টনি ডায়েস ও প্রিয়া ডায়েস
টনি ডায়েস। এক সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, বাচিকশিল্পী। কাজ করেছেন টিভি, চলচ্চিত্র আর বেতারে। দীর্ঘদিন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। কাল বড়দিন। তার আগে ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

আপনাকে বড়দিনের শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ। বাংলাদেশের সবাইকে বড়দিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
কেমন আছেন?
খুব ভালো। খুব নিশ্চিন্তে আছি। এখানে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই, লোডশেডিং নেই, পানির সংকট নেই, যানজট নেই, ইভ টিজিং নেই। দরজা খুলে ঘুমাতে পারি। যুক্তরাষ্ট্র বাইরের দেশে কী করছে, তা নিয়ে অনেক কথা হতে পারে; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের মানুষের এতটুকু কষ্ট হতে দেবে না। এখানে মেধার শতভাগ মূল্যায়ন হয়। আর এখানে অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। বুঝতেই পারছেন, অনেক শান্তিতে আছি।
আপনি যুক্তরাষ্ট্রের কোথায় আছেন?
নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে। এই শহরের নাম হিকসভিল।
ওখানে কত দিন হলো?
আমরা এখানে এসেছি ২০০৯ সালে। মাঝে ২০১৩ সালে সপ্তাহ খানেকের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। জরুরি কিছু কাজ ছিল। আমার আর প্রিয়ার পরিবারের প্রায় সবাই যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলাদেশে এখন আর তেমন কেউ নেই।
কী করছেন?
আমেরিকান হোন্ডায় আছি। অনেক বছর হলো। এই প্রতিষ্ঠানে আমি ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনে কাজ করছি। এখানে এখন সকাল। অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আপনার স্ত্রী প্রিয়া তো নৃত্যশিল্পী।
প্রিয়া এখানেও নাচ করছে। এখানে ওর দুটি নাচের স্কুল আছে। একটি ব্রুকলিনে আর অন্যটি হিকসভিলে। এ ছাড়া নাচের অনুষ্ঠানও করছে।
আপনার মেয়ে?
আমাদের একটাই মেয়ে। অহনা। ক্লাস নাইনে পড়ছে।
অভিনয় করছেন?
একেবারেই না। মাঝেমধ্যে নাটক তৈরির খুব ইচ্ছে হয়। এত সুন্দর লোকেশন। অনেক গল্প মাথায় আছে। কিন্তু করা হয় না। তৈরি করে কী হবে? কোথায় দেখাব? যা খরচ হবে, তার অর্ধেকও তো পাব না। এভাবে আসলে সম্ভব না।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেকে একেবারেই দূরে সরে গেছেন?
মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি কমিউনিটির ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটা রিয়েলিটি শো করেছিলাম। আমেরিকান হোন্ডা সহযোগিতা করেছিল। স্থানীয় এনটিভি চ্যানেল অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে আর কানাডায় দেখিয়েছিল। আয়োজনটি আমরা তিন বছর করেছি।
এবার বড়দিন উদ্যাপনের কী পরিকল্পনা করছেন?
এরই মধ্যে আমাদের বাসা ক্রিসমাস ট্রি আর ক্রিসমাস লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়েই এখন সাজসাজ রব। এখানে শুধু ২৫ ডিসেম্বর ছুটি। তবে অনুষ্ঠান শুরু হয় ২৪ ডিসেম্বর থেকেই। এবারও ২৪ ডিসেম্বর রাতে আমাদের বাসায় অনেকেই আসবেন। অনেক আনন্দ হবে। সবাই মিলে রাতের খাবার খাব। পরদিন আমরা বেড়াতে যাব। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করব।
বাংলাদেশের কথা মনে পড়ে?
খুব মনে পড়ে। বন্ধুদের খুব মিস করি।
এর মধ্যে বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা আছে?
আগামী বছর শেষের দিকে আসব। সঙ্গে প্রিয়া আর অহনা থাকবে। মাস খানেক থাকব।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ। আশা করছি, আবার সবার সঙ্গে দেখা হবে।