'নায়িকা হওয়াটা খারাপ না' - মৌসুমী

প্রায় দুই দশক ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে সেরার আসন ধরে রেখেছেন। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী কাজ করছেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। শুরু করেছেন তৃতীয় ছবি পরিচালনার কাজও।

মৌসুমী
মৌসুমী

মুক্তি পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র
কেয়ামত থেকে কেয়ামত
ক্যামেরার সামনে প্রথম দিন
১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে একটা বিজ্ঞাপনের কাজের জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। তবে তার আগে লাক্স ফটোসুন্দরী নির্বাচিত হয়েছি। তখনো তো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো হয়েছে অনেকবার।
যে চরিত্রে কাজ করতে চাই
চোখের বালি সিনেমায় ঐশ্বরিয়া রাই যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, ওই চরিত্রে অভিনয় করার খুব ইচ্ছে।
ভালো অভিনয়ের জন্য যে তিনটি গুণ জরুরি
পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, ধৈর্য ও আবেগপ্রবণতা।
নিজের সম্পর্কে একটি অজানা তথ্য
আমি অনেক রাত জেগে কাজ করতে পারি।
হারিয়ে যাওয়া বন্ধুকে যা বলতে চাই
বর্ণালি নামে আমার একজন বন্ধু ছিল, যার সঙ্গে এখন আর যোগাযোগ নেই। তার ধারণা, আমি তার ওপর অনেক রেগে আছি। কিন্তু সত্যি কথা হলো, আমি এখন আর তার ওপর মোটেও রেগে নেই।
এক দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হলে যে কাজটি করব
সবার আগে ঢাকা শহরের রাস্তার যানজট কমানোর চেষ্টা করব।
বাংলা ছায়াছবির যে দিকটি বদলাতে চাই
বাংলা ছবিতে এখনো কিছু গতানুগতিক ও অযাচিত বিষয় থাকে। সেগুলো পরিবর্তন করব।
সিনেমা নিয়ে আমার প্রিয় উক্তি
পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান ভাই প্রায়ই আমাকে আর সালমাহ শাহকে বলতেন, ‘সিনেমা হলো ১০০ ভাগ এন্টারটেইনমেন্ট।’ এটা আমার খুব পছন্দের উক্তি।
অভিনয় করার সময় যে দিকটি মাথায় থাকে
একসময় দর্শকদের ভালো লাগার ব্যাপারটি মাথায় রাখতাম আর এখন আমার ও পরিবারের ভালো লাগার বিষয়টিও মাথায় রাখি।
অভিনয় ছাড়া যে কাজে পারদর্শী
অভিনয় ছাড়া খুব বেশি কিছু পারি না। তবে সাজসজ্জা ও ভালো রান্না করতে পারি।
নিজেকে পর্দায় দেখলে ভাবি
নিজেকে পর্দায় দেখলে মনে হয়, নায়িকা হওয়াটা খারাপ না। হা হা হা।
নিজের যে দিকটি বদলাতে চাই
আমার কোনো কিছুই বদলাতে চাই না। যা আছে, তা-ই নিয়েই সন্তুষ্ট।

যখন রেগে যাই

একসময় বাসার অনেক কিছু ভাঙচুর করতাম, এখন কিছুই করি না। চুপচাপ থাকি।

মন খারাপ হলে

মন খারাপ হলে দরজা আটকে চুপচাপ বসে থাকি অথবা বই নিয়ে বসি।

অবসরের সঙ্গী

অবসর খুব কম পাই। যতটুকু পাই, বাচ্চাদের সময় দিই।

সংসার সুখের হয়...

সংসার সুখের হয় ছেলেদের গুণে। তবে এর পেছনে মেয়েদের অবদানও রয়েছে। ছেলেদের ভেতর থেকে গুণটা বের করে আনতে হয় মেয়েদেরই।

সামনে যে কাজটি করব ভাবছি

ভালো ভালো ছবিতে অভিনয় করতে চাই। আর ইউনিসেফের হয়ে শিশুদের জন্য কিছু কাজ করতে চাই।

সাক্ষাৎকার: মো. রুবেল