সবচেয়ে সুখী নরওয়ে, বাংলাদেশ ১১০তম

বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় এবার শীর্ষ অবস্থানে আছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ নরওয়ে। প্রতিবেশী দেশ ডেনমার্ককে পেছনে ফেলে এবার তালিকার এক নম্বরে উঠে গেল দেশটি। আর ১৫৫টি দেশের মধ্যে সুখী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ১১০তম।

আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) থেকে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০১৭-তে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ২০ মার্চ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উপলক্ষে পঞ্চমবারের মতো আজ এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘ এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নরওয়ের পরেই তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্ক দ্বিতীয় অবস্থানে, আইসল্যান্ড তৃতীয়, সুইজারল্যান্ড চতুর্থ, ফিনল্যান্ড পঞ্চম, নেদারল্যান্ডস ষষ্ঠ, কানাডা সপ্তম, নিউজিল্যান্ড অষ্টম, অস্ট্রেলিয়া নবম ও সুইডেন দশম অবস্থানে আছে। গত বছর ডেনমার্ক প্রথম অবস্থানে ছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তালিকার একদম শেষে অর্থাৎ সুখী দেশের দিক থেকে ১৫৫তম অবস্থানে আছে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র। আরও কম সুখী দেশগুলোর মধ্যে আছে সিরিয়া (১৫২তম), ইয়েমেন (১৪৬তম) ও দক্ষিণ সুদান (১৪৭তম)। এ ছাড়া তালিকায় নেপালের অবস্থান ৯৯তম, বাংলাদেশ ১১০তম, মিয়ানমার ১১৪তম, শ্রীলঙ্কা ১২০তম ও ভারত ১২২তম অবস্থানে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকায় গত বছরের চেয়ে এক ধাপ পিছিয়ে গেছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৪। তবে এবার চার ধাপ এগিয়েছে যুক্তরাজ্য, দেশটির অবস্থান ১৯তম। তবে বাংলাদেশে সুখের কোনো হেরফের হয়নি। দেশটির অবস্থান আগের মতোই রয়েছে। এ ছাড়া জার্মানি ১৬তম, সিঙ্গাপুর ২৬তম ও ফ্রান্স ৩১তম অবস্থানে রয়েছে।

এসডিএসএনের পরিচালক ও জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ উপদেষ্টা জেফ্রে স্যাকস এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যেসব দেশে সমৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য আছে, অর্থাৎ যেসব দেশে সমাজের চূড়ান্ত পর্যায়ের আস্থা আছে, অসমতা কম ও সরকারের প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা আছে—সেসব দেশ সাধারণ মাপকাঠিতে সুখী দেশ।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সুখী দেশের এই তালিকাটি তৈরি করতে ছয়টি মানদণ্ডকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই ছয়টি মানদণ্ড হলো মোট দেশজ উৎপাদন, স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রত্যাশা, স্বাধীনতা, উদারতা, সামাজিক সমর্থন ও দুর্নীতিবিহীন সরকার ও ব্যবসা।